image

আজ, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

আনোয়ারায় পল্লী বিদ্যুতের বিল নিয়ে হ য ব র ল অবস্থা !

আনোয়ারা সংবাদদাতা    |    ১৭:১০, জুন ১৭, ২০২০

image

আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহকদের অভিযোগের চিত্র

করোনা দূর্যোগে আনোয়ারায় পল্লী বিদ্যুতের বাড়তি বিল নিয়ে গত ২ মাস ধরে ৭০ হাজার গ্রাহকদের মাঝে ভোগান্তি ও অভিযোগের শেষ নেই। এ নিয়ে ভুক্তভোগিদের সাথে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের বাকবিতন্ডার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। ফলে করোনাকালীন সময়ে বাড়তি বিদ্যুৎ বিলে ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে গ্রাহকরা।

গ্রাহকদের অভিযোগ বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন মিটার না দেখে অফিসে বসে বিল তৈরী করার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত এপ্রিল মাসে সরকারের নির্দেশনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মিটার পরিদর্শন না করে পূর্বের বিলের গড় অথবা গত বছরের এপ্রিল মাসের বিল গ্রাহকদের প্রদান করে। এতে গ্রাহকরা বাড়তি বিলের অভিযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে পরবর্তি মাসে বাড়তি বিল সমন্বয় করা হবে বলে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে জানানো হয়। কিন্তু মে মাসের বিলেও অতিরিক্ত বিলের কপি গ্রাহকদের ধরিয়ে দিলে গ্রাহকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন।

বারশত বকতিয়ার পাড়া এলাকার স্কুল শিক্ষিকা হোসনেরা বেগম জানান, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে তিনি বাসার সব কিছু বন্ধ করে শহরের বাসায় অবস্থান করছেন, কিন্তু গত এপ্রিল মাসে তাকে ১৯৪৫ টাকার বিল দিলে তিনি অফিসের সাথে যোগাযোগ করেন। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস তাকে পরবর্তি মাসে সমন্বয়ের আশ্বস্থ করলেও মে মাসেও সাড়ে ৫শত টাকার বিল দেয়া হয়।

বটতলী এলাকার এডভোকেট সালাদ্দিন আহমেদ চৌধুরী লিপু জানান, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে সবাই শহরে থাকি। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে বাড়িতে যাওয়া হয়নি। তাই বিদ্যুৎও ব্যবহার হয়নি, কিন্তু আশ্চার্যের বিষয় মার্চে ৫শত ৮২ টাকার ও এপ্রিল মাসের ৭শ ২ টাকার বিল ধরিয়ে দেয়। মিটারের রিডিং চেক করে বিলের সাথে মিটারের কোন সমন্বয় পাওয়া যায়নি। যা ভূতুড়ে, কাল্পনিক ও মনগড়া বিল। এরকম অভিযোগ এলাকার আরো অনেকেরই রয়েছে। 

আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম  বেলায়েত হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি গত বছরের বিলের ব্যবহারের গড় অনুপাত পর্যালোচনা করে বিল তৈরী করা হয়েছে। কোন গ্রাহক যদি অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ আনে তা যাচাই বাচাই করে পরবর্তি মাসে সমন্বয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রাহকদের মনগড়া বিল করার অভিযোগ সত্য নয়।

এদিকে অফিস আদালত, ব্যাংক-বীমা সর্বক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের কথা বলা হলেও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে তার ছিটেফোটাও নেই। গাধাগাধি করেই মানুষকে তাদের প্রয়োজন সারতে হচ্ছে এখানে। ফলে করোনা সংক্রমণেরও আশঙ্কা তৈরী হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।



image
image

রিলেটেড নিউজ

Los Angeles

২০:৩৩, অক্টোবর ১৩, ২০২১

তিন প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে বিপাকে বাঁশখালীর এক দরিদ্র পরিবার


Los Angeles

১৯:২৫, অক্টোবর ১২, ২০২১

বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধ্বসে গেলো হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর


Los Angeles

১২:১৮, অক্টোবর ১০, ২০২১

কে বলে রে জমি নাই, জমি আছে দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী-আদর্শগ্রাম রাস্তায় !


Los Angeles

১১:৪৮, অক্টোবর ১০, ২০২১

সীতাকুন্ডে নলকূপে ঢালায়ের অভিযোগ : সুপেয় পানির সংকটে এলাকাবাসী


Los Angeles

০২:৩৬, অক্টোবর ১০, ২০২১

বিটুমিন নয়, সড়কে যেনো ভিটামিনের অভাব !


Los Angeles

১৮:২৭, অক্টোবর ৪, ২০২১

কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বাঁশখালীর ইকোপার্ক


Los Angeles

১৮:৪৪, অক্টোবর ৩, ২০২১

নাইক্ষ্যংছড়িতে করোনাক্রান্ত শিক্ষিকা, বন্ধ হলো স্কুল


Los Angeles

১৬:১৯, অক্টোবর ৩, ২০২১

সীতাকুন্ডে সরকারি ভাতার বই উধাও, বিপাকে উপকারভোগীরা


Los Angeles

১৩:১৬, অক্টোবর ২, ২০২১

মিরসরাই জোরারগঞ্জ : দেখে এমন ব্রীজ, যে কেউ হবেন ফ্রিজ


image
image