শিরোনাম
প্রতিবেদক | ১৯:০৫, জুলাই ১২, ২০২০
চট্টগ্রামে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে নকল সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রির দায়ে একজনকে আটক ও জমজম কেমিক্যাল পারফিউমারী নামে একটি কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কারখানায় তৈরি ও বাজারে ঢুকে পড়া নকল সুরক্ষা সামগ্রীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানে আজ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
নগরীর জেল রোডে অবস্থিত মানিক এন্টারপ্রাইজ ও জমজম কেমিক্যাল এন্ড পারফিউমারী নামক দুটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালিত হয়। এনএসআই নগর গোয়েন্দা শাখার নজরদারীর মাধ্যমে তাদের অবৈধ ব্যবসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে এর যথার্থতা পাওয়া যায়। এজন্যে অগ্রিম টাকা দিয়ে ৮০ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অর্ডারও দেওয়া হয়। কিন্তু সরবরাহ করতে গেলেই গড়িমসি করতে থাকেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় কাস্টমারকে আসতে নিরুৎসাহিত করতে থাকেন। তিনি ৮০ লিটার স্যানিটাইজার দিবেন তার বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট জায়গায় বা কাস্টমারের ঠিকানায়। যার ফলে ৮০ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করতে এলে হাতেনাতে ধরা হয় মানিক এন্টারপ্রাইজের মালিক মানিক ঘোষকে।
অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের খবর পেয়ে জমজম কেমিক্যাল এন্ড পারফিউমারী দোকানের মালিক দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান।
মানিক এন্টারপ্রাইজের মালিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকার করেন যে তিনি জমজম কেমিক্যাল ও পারফিউমারীর কাছে স্পিরিট ও মিথানল বিক্রি করেন ও হ্যন্ড স্যানিটাইজার বিক্রয়ে সহায়তা করেন ও নিজেও বিক্রি করেন ।
নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রয় ও মানুষের সাথে প্রতারণার দায়ে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জানান, গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে জেল রোড এলাকায় নকল সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রয়ের কারখানার অনুসন্ধান করে দুটি দোকানকে শাস্তির আওতায় আনা হয়।
তিনি আরও জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি অতিরিক্ত লাভের আশায় নিজেরাই বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল সামগ্রী মিশ্রণের মাধ্যমে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে ভেজাল বা নকল করতে উদ্যত অসাধুদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং অনেককেই কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারীর মাধমে বাকীদের ব্যাপারেও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। যাদেরকেই এসব অনিয়মের সাথে জড়িত পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এ ধরণের অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে ছিলেন এনএসআই নগর গোয়েন্দা শাখা ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো কামরুল হাসান।
Developed By Muktodhara Technology Limited