শিরোনাম
কক্সবাজার সংবাদদাতা | ২১:৪৫, আগস্ট ৭, ২০২০
কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্ট পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কারাগারে যাওয়া টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, কারাগারে যাওয়া ৭ জনকে নিয়ম অনুযায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তিতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবি এম মাসুদ হোসেন বিপিএম বার বলেন, কারাগারে যাওয়ার পরই তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সবকিছু আইন অনুযায়ী হবে।
সাময়িক বরখাস্তকৃতরা হলেন- মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া। মামলার বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
প্রদীপ কুমার দাশকে বুধবার থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ বাকি ছয়জনকে ঘটনার পর প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছিলো। হত্যা মামলায় জড়িত ৯ জনকে আসামি করা হয়।
বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পন করা ৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন
টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন। র্যাব_১৫ এর পক্ষ থেকে ৭ আসামীকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মনঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে তাদেরকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কড়া পুলিশ প্রহরায় কক্সবাজার জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার অপর দুই এজাহারভুক্ত আসামি এসআই টুটুল ও কন্সটেবল মোস্তফা আদালতে আত্মসমর্পন করেননি বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী এ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
গত ৩১ জুলাই রাত ৯টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়া মেরিন ড্রাইভ শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের বড়বোন ও মোঃ শামসুজ্জামানের সহধর্মিণী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস (৪২) বাদী হয়ে ৫ আগস্ট সকালে কক্সবাজার টেকনাফ আদালতে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামী করা হয়েছিল।
মামলায় মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের সঙ্গী ও ৩১ জুলাই রাতে সংগঠিত ঘটনায় টেকনাফ পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি সাহেদুল ইসলাম সিফাত সহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
Developed By Muktodhara Technology Limited