শিরোনাম
মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশ সংবাদদাতা | ১৯:৩০, আগস্ট ১৮, ২০২০
চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার হাতিয়াখোলা মৌজায় কিল্লাপাড়া টু গুচ্ছগ্রাম সড়কে প্রায় আড়াই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে দুই শতাধিক পরিবারের লোকজনের চলাচলে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, আকবর কোম্পানির পাহাড় থেকে গুচ্ছগ্রাম পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা হওয়ায় বর্ষা মৌসুম চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বর্ষাকালের এই সময়ে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কোন কোন স্থানে গর্ত হয়ে পানি জমে থাকে, আবার কোন কোন স্থানে হাঁটু সমান কাদা হয়ে যায়। কর্দমাক্ত এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে হাতিয়াখোলা, গুচ্ছগ্রাম, গাজী শাহর মাজার ও ময়নার বাপের পাহাড় এলাকার কৃষক, শিক্ষার্থীসহ দুই শতাধিক পরিবারের মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।বৃষ্টির দিনে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কাদা-পানিতে পড়ে পোশাক ভিজিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। এতে বর্ষার সময়ে শিক্ষার্থীরা কাদা-পানির ভয়ে নিয়মিত স্কুলে যেতে চায় না। তাছাড়া শুকনো মৌসুমেও রাস্তার ধুলায় কাশিসহ অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
হাতিয়াখোলা মৌজাটি দোহাজারী পৌরসভার অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনুন্নত। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এ রাস্তা দিয়ে গ্রামের শাক-সবজি ও মৌসুমী ফলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রি করতে দোহাজারী বাজারে যেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া চলাচলের যানবাহন, রোগী পরিবহনের অ্যাম্বুলেন্স, রিক্সা-ভ্যান, মোটরসাইকেল-বাইসাইকেল চালানো, এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
জানা গেছে, চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী উপজেলা পরিষদের বাজেট থেকে তিন দফায় প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক ব্রিক সলিং করে দিয়েছেন। সম্প্রতি পৌরসভার উদ্যোগে 'গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)' এর আওতায় ৯৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭৯ টাকা ব্যয়ে জামিজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে জামিজুরী আদর্শগ্রাম পর্যন্ত আরসিসি দ্বারা যে সড়কটি হচ্ছে, সেটি কিল্লাপাড়া থেকে হাতিয়াখোলা পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিলো। পৌর কর্তৃপক্ষ এই সড়কটি মেপে নিলেও অদৃশ্য কারনে সেটি এখানে না হয়ে জামিজুরীতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, এ রাস্তাটি দিয়ে কয়েকটি স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী চলাচল করে। কিন্তু বর্ষার সময় রাস্তায় কাদা হওয়ায় ছোট শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। এছাড়া রোগী, শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন সময় মালপত্র বহন করতে গিয়ে পা পিছলে ছিটকে পড়ে আহত হয়েছে অনেকে। বৃষ্টির মৌসুমে অনেক শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার পথে পা পিচলে পড়ে গিয়ে বই-খাতা কাপড়-চোপড় নষ্ট হয়ে যায় এবং বোঝা বহন কারিরা পড়ে গিয়ে বোঝা ছিটকে পড়ে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। এই এলাকার কোন লোক রাতের বেলা অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে রাতে যাওয়া সম্ভবই না তারপর দিনের বেলায়ও ডাক্তারের কাছে যেতে চরম কষ্ট পেতে হয়। রাস্তাটি পাকা করনের জন্য স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, "সড়কটির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রকল্প তৈরী এই অর্থ বছরে সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হবে।"
Developed By Muktodhara Technology Limited