শিরোনাম
আনোয়ারা সংবাদদাতা | ১৩:২১, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
আনোয়ারায় কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়কের অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের টাকা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের এলএ শাখার সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। যার কারণে ভূমির প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থরা গত রবিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছে। ক্ষতিগ্রস্থ নুরুল ইসলাম গত ৮ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২এর উপ-পরিচালক বরাবর ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিএস রেকর্ড মতে জমির মালিক মনির আহমদ ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর কবলা নম্বর ১৮৮৪৫ মূলে জনৈক আবদুল মন্নান ও জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ৭.৫ শতক ভূমি বিক্রি করেন। পরে ক্রেতা আবদুল মন্নান ও জাহাঙ্গীর আলম ওই ভূমির মালিকানা দাবিদার থেকে ১৯৮৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর উচিতমূল্য গ্রহণ করে সাব-রেজিস্ট্রি করা ৩৪৬৮ দলিলমূলে অপর ক্রেতা আবুল হোসেন ও আবুল খায়েরের কাছে বিক্রি করেন। ক্রয়সূত্রে বেলচূড়া মৌজার আরএস ২৫২ দাগের ওই ভূমিতে মালিকগণ দখলস্বত্বে স্থিত আছেন।
উক্ত তফসিল ভূমি সরকার কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়কের জন্য এলএ মামলা নম্বর ৩০/২০১৬-১৭ মূলে অধিগ্রহণ করেন। তফসিল ভূমির প্রকৃত মালিকরা কাগজপত্র ও খতিয়ানাদি সম্পাদনের জন্য ভুক্তভোগী নুরুল ইসলামকে আমমোক্তার নিযুক্ত করেন। সে অনুযায়ী নুরুল ইসলাম ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনেরভূমি অধিগ্রহণ শাখায় ক্ষতিপূরণের জন্য দরখাস্ত দাখিল করেন।কিন্তু জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এলএ শাখার সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে মোহাম্মদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি গত ১৬ মার্চ চেকে ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫০২ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম জানান,আমি ভূমির প্রকৃত মালিক হওয়া স্বত্ত্বেও এলএ শাখার লোকজন ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলনে ৫০ শতাংশ কমিশন দাবি করেন।তাতে আমি রাজি না হওয়ায় এলএ শাখার সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে আগের মালিকের নামে বেআইনি রোয়েদাদ সৃষ্টি করে ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের (এলএ) শাখার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা কায়সার খসরু বলেন, আমরা কাগজপত্র দেখে সঠিক নিয়মে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা ছাড় দিয়েছি। সেক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে আমরাও চায় সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিচার হোক। আমিও যদি অপরাধী হই আমার বিচারও হবে।
অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন,যাছাই করে অভিযোগটি ঢাকায় পাঠানো হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited