image

আজ, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

হৃদয়ের অসুস্থতা বুঝবেন যেভাবে

ডেস্ক    |    ১৮:৪৪, অক্টোবর ৫, ২০২০

image

নানা কারণে হৃৎপিণ্ডের পাম্প করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। অতঃপর হার্ট ফেলিওর হয়ে অনেকেই মারা যায়। অনেক সময় অক্সিজেনের ঘাটতিতে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। 

ডাক্তাররা হার্ট ফেলিওরকে অসুখ না বলে বলেন একটি সিনড্রোম। আসুন জেনে নেই কী কী কারণে হার্ট ফেলিওর হতে পারে। 

> হার্টের পেশি দুর্বল হয়ে গেলে পাম্প করার ক্ষমতা কমতে শুরু করে।

> হার্ট অ্যাটাকের পর সঠিক চিকিৎসা না হলে এবং লাইফস্টাইল পালটাতে না পারলে হৃৎপিণ্ডের পেশি দুর্বল হতে শুরু করে।

> করোনারি আর্টারি ডিজিজ থাকলে হৃৎপিণ্ডের পেশিতে অক্সিজেন যুক্ত রক্ত সরবরাহ কমে গিয়ে এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।

> হাই ব্লাড প্রেশার থাকলে হার্টকে অনেক বেশি পাম্প করতে হয়। সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়েও পেশি ক্রমশ ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।

> হৃৎপিণ্ডের ভালভের সমস্যা থাকলেও হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়ে। জন্মগতভাবে হার্টের ভালভের ত্রুটি থাকলে অথবা সংক্রমণের শিকার হলে ভালভ ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।

> বিভিন্ন ওষুধের (কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত) পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, মদ্যপান, সংক্রমণসহ নানা কারণে কার্ডিওমায়োপ্যাথি নামক অসুখ হলেও হার্ট ফেলিওর হতে পারে।

> ভাইরাল ইনফেকশন মায়োকার্ডাইটিস হলেও হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়ে। এই ক্ষেত্রে লেফট সাইডেড হার্ট ফেলিওর হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান ও মদ্যপানেও হার্টের পেশি কমজোরি হয়।

> স্লিপ অ্যাপনিয়া অর্থাৎ নাক ডাকার অসুখ থাকলেও এই সমস্যার ঝুঁকি থাকে। হৃৎপিন্ডের জন্মগত ত্রুটির কারণে হার্টের চারটি চেম্বারে রক্ত চলাচল বিঘ্নিত হলেও এই অসুখের ঝুঁকি বাড়ে।

> অ্যারিথমিয়া- অর্থাৎ হার্টের ছন্দ স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি হলেও হার্ট ফেলিওর হতে পারে।

> অ্যালার্জি, ফুসফুসে রক্তের ডেলা আটকে যাওয়া, থাইরয়েডের অসুখ, হেমোক্রোমাটোসিস ও অ্যামিলয়ডোসিস নামক অসুখের কারনেও হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়ে।

বয়সজনিত কারণে অনেকেই হার্ট ফেলিওরের শিকার হন। তবে অল্প বয়স্করা, যাদের ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের মতো রোগ রয়েছে তারাও হার্ট ফেলিওরের শিকার হতে পারেন।

সারাবিশ্বে দিনের পর দিন হৃদযন্ত্রঘটিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হাইপারটেনশন, করোনারি হার্ট ডিজিজ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ- এই সব অসুবিধা যাদের মধ্যে রয়েছে তারাই হার্ট ফেলিওরের বেশি শিকার হচ্ছেন। 

এছাড়াও প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা কাজের প্রেসার, স্ট্রেস প্রভৃতি কারণে রক্তচাপের সমস্যা এবং অনিয়িন্ত্রিত জীবন-যাপনও মানুষের হার্ট ফেলিওরের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

হার্ট ফেলিওরের লক্ষণ:

> রাতে বার বার প্রস্রাব পাওয়া

> দুর্বলতা এবং অবসাদ

> অনিয়মিত অথবা দ্রুত হৃৎস্পন্দন

> শরীরচর্চার ক্ষমতার কমে যাওয়া

> পা, গোড়ালি এবং পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া

> কাশির সঙ্গে কালচে লাল বা সাদা রক্তযুক্ত কফ বেরোনো

> পেট ফুলে যাওয়া

> শরীর তরল ধরে রাখবার ফলে হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া

> খাবারে অনীহা এবং গা গোলানো

> মনোনিবেশ করতে সমস্যা কিংবা মনঃসংযোগে খামতি

> গুরুতর বা আচমকা নিঃশ্বাসের দুর্বলতা

> কালচে লাল কাশির সঙ্গে ফেনার মতো শ্লেষ্মা উঠতে পারে



image
image

রিলেটেড নিউজ

Los Angeles

১৩:০৩, জুলাই ৭, ২০২১

ব্রেইন টিউমার : আতঙ্কিত নয়, সচেতন হোন


Los Angeles

১৪:৪৪, মে ২৩, ২০২১

চন্দনাইশে বেড়েছ সর্দি, জ্বর ও ডায়রিয়ার প্রকোপ


Los Angeles

০০:৪৫, অক্টোবর ১৮, ২০২০

ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের যত্ন


Los Angeles

১৮:৩৯, অক্টোবর ১৫, ২০২০

বাতের ব্যথায় সুস্থতায় করণীয়


Los Angeles

১৮:২৮, অক্টোবর ১৫, ২০২০

মোটা ভীতি : ভাত কতটুক কখন কিভাবে খাবেন ?


Los Angeles

১৩:৩৫, অক্টোবর ৮, ২০২০

এপেন্ডিসাইটিস সম্পর্কে জানুন


Los Angeles

১৯:১৬, অক্টোবর ৫, ২০২০

সবজিতেই সুস্থতা সবজিতেই মুগ্ধতা


image
image