image

আজ, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

পুরান ঢাকার শিশু রিফাত হত্যার রায় বুধবার (অপহরণকারী খুনির অডিও টেপসহ)

ঢাকা ব্যুরো    |    ১৩:৩৩, অক্টোবর ৬, ২০২০

image

পুরান ঢাকার লালবাগ থানা এলাকার ছয় বছরের শিশু শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান রিফাত হত্যা মামলার রায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল এর আদালতে বুধবার (৭ অক্টোবর) ঘোষণার  দিন ধার্য্য রয়েছে।

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ মোল্লা জানান, চাঞ্চল্যকর এই মামলার কেস ডকেট(সিডি) রহস্যময় কারণে গায়েব করে দেয়ায় মামলাটির রায় বিলম্বিত হলো।

২০১৫ সালের ৯ জুন রিফাত নিখোঁজ হন।এরপর ওই দিন রাতেই লালবাগ থানায় একটি ডাইরী করেন তার পিতা রফিকুল ইসলাম। পরদিন তার বাবা"র ফোনে অজ্ঞাত পরিচয় একজন ফোন দিয়ে তার ছেলেকে ফিরে পেতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।বিষয়টি তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে তার ছেলেকে ফিরে পেতে সাহায্য কামনা করলে র‌্যাব-১০ শিশু রিফাতকে উদ্ধারে ছায়া তদন্ত শুরু করে। তৎকালীন র‌্যাব-১০ এর শায়েস্তা খাঁ ক্যাম্প এর কমান্ডার মেজর জাহাঙ্গীর কবির একটানা ২৪ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে শিশু রিফাতকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কারণ অপহরণকারী অপহরণের দিন সন্ধ্যায়ই রিফাতকে হত্যা করে লাশ তার ঘরের খাটের নীচে বস্তায় ভরে রিফাতের বাবা"র সঙ্গে ছেলের মুক্তিপণ নিয়ে টেলিফোনে কথা চালাচালি করতে থাকেন।

পরে র‌্যাব-১০ এর হাতে আটকের পর দেখা যায়. আসামী রিফাতের প্রতিবেশী জুয়েল ও তার বাবা হাবিব।

জুয়েল শিশু রিফাত হত্যার বিবরণ দিয়ে জানায়, ঘটনার দিন রিফাতকে খেলার জন্য টেনিস বল কিনে দেয়। এরপর সন্ধ্যায় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ঘরে নিয়ে জুস পান করতে দেয়। আগে থেকেই জুস এর সঙ্গে মিশিয়ে রেখেছিলো ১০টি ঘুমের টেবলেট। জুস পানের পরই পরই রিফাত অচেতন হয়ে পড়লে তাকে বস্তায় ভরে খাটের নীচে লুকিয়ে রেখে দেয়। এরপর তার বাবার সঙ্গে ছেলেকে ফিরে পেতে ১০লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একপর্যায়ে তার গরীব পিতা রফিকুল ইসলাম ৪০ হাজার টাকা যোগাড় করে অপহরণকারীর কথা মতো আজিমপুর ছাপড়া মসজিদের পেছনে শহীদ মিনারে টাকা রেখে আসে। এরপর অপহরণকারী টাকা নিতে আসলে আগে থেকে অনুসরণ করা র‌্যাব-১০ এর সদস্যরা টাকাসহ জুয়েল নামে একজনকে আটক করে। জুয়েল নিহত শিশু রিফাতের প্রতিবেশী। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১১জুন সকালে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে বস্তাবন্দি শিশু রিফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। দ্রুত অর্থ আয় করতে তার বন্ধু মটর মেকানিক ইকবালের সঙ্গে পরামর্শ করে জুয়েলের প্রতিবেশী রিফাতকে অপহরণের পরিকল্পনা করে।

অপহরণের দিন সন্ধ্যায় রিফাতকে হত্যা করা হলেও পরদিন মটর মেকানিক ইকবালের মোটরসাইকেলে করে বস্তাবন্দি রিফাতের লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে আসে। অপহরণকারী জুয়েল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতেও হত্যার বিবরণ দেয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে রিফাতকে অচেতন অবস্থায় শ্বাসরোধে হত্যার কথা বলা হয়েছে।

রিফাত বালুরঘাটের জগত মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলো। তার প্রতিবেশী জুয়েলের পিতা হাবিব রিফাতের বাবাকে তাদের এক কাঠা জায়গা তার কাছে বিক্রি করতে চাপ দিচ্ছিলেন। ঢাকার সোয়ারীঘাটে পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী রিফাতের পিতা রফিকুল ইসলাম আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় তার জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করতে পারছিলেন না। তাই জুয়েলের বাবা তাকে ওই জায়গা বিক্রি করতে বাধ্য করতে তার ছেলেকে অপহরণ করিয়ে ছিলেন বলে নিহত রিফাতের বাবা মনে করছেন।গত পাঁচ বছর মামলাটি চলাকালে ৩৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দান করেছেন।



image
image

রিলেটেড নিউজ

Los Angeles

২৩:০৯, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

পুলিশের ভয়ে নদীতে ঝাপ দিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা


Los Angeles

১৬:২৫, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১

এসি আকরামের জবানবন্দিঃ ২২ খুনের মামলার আসামি ছিলেন কুখ্যাত ইমদু


Los Angeles

২০:০৫, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১

এসি আকরামের জবানবন্দিঃ ইমদু এক ভয়ংকর খুনীর নাম


Los Angeles

২৩:৪৯, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন


image
image