শিরোনাম
কক্সবাজার ব্যুরো | ১৬:৫৪, অক্টোবর ১৭, ২০২০
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে কক্সবাজার সৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে ব্যবসায়ী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সাংবাদিক সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে এঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক নুরুল করিম রাসেলের অবস্থা গুরুতর। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অন্যান্য আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে ছিলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ সচিব আবু জাফর রাশেদ, কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো.শাহরিয়ার মোক্তার, কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মনিরুল গীয়াসের নেতৃত্বে পুলিশ টীম।
কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানে বাঁধা দিয়ে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করে এবং অভিযানে অংশ নেয়া লোকজনের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে যমুনা টিভির কক্সবাজার প্রতিনিধি নুরুল করিম রাসেলসহ অন্তত ১৫ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়।
বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ ফাঁকাগুলি, বারার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে । উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে বুলডোজার নিয়ে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে উচ্ছেদ অভিযানে গেলেও বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করতে পারেনি।
এ সময় অবৈধ দখলদারদের পক্ষে অনেককেই জেলা প্রশাসনের ওই দলকে বাধা দিতে দেখায়।
গত ১ অক্টোবর সুপ্রিম কোটের আপিলেট ডিভিশন থেকে সুগন্ধা পয়েন্টের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানানো হয়।
এপ্রসঙ্গে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘কোনো বাধার খবর আমি শুনিনি। তবে, দোকান মালিকদের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তাদের সময় দেওয়া হয়েছিল।’
ইতোমধ্যে ৭৫ শতাংশ জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
Developed By Muktodhara Technology Limited