শিরোনাম
কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা | ০০:২৯, অক্টোবর ১২, ২০১৮
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা এয়ারপোর্ট রোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর করুন মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা সারা দেশে নিরাপদ সড়কের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করে চালকদের ও যানবাহনের বৈধতা তল্লাসি চালিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচী পালন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় উখিয়ায় স্কুল ছাত্রীদের নিরাপদ সড়ক পারাপারের জন্য গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হলেও এখন তা আর চোখে পড়েনা। ফলে অসংখ্য যানবাহনের চাপের ভীড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হতে হচ্ছে। অভিভাবকরাও শংকিত তাদের ছেলে মেয়েরা নিরাপদে বাড়ী ফিরতে পারে কিনা।
উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার আবুল হোসাইন সিরাজী জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় একদিন মাত্র একজন গ্রাম পুলিশ ছাত্র ছাত্রীদের সড়ক পার করে দিতে দেখা গেছে। পর দিন থেকে ওই গ্রাম পুলিশকে আর দেখা যায়নি। তবে ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মুকুল চাকমা বলেন, ছাত্র ছাত্রী ও পথচারী যাতে নিরাপদ সড়ক পার হতে পারে সে ব্যাপারে তারা গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। যানবাহনের সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে সড়ক দুর্ঘটনা পুরোপুরি শংকামুক্ত করা যাচ্ছে না বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। শিক্ষার্থী অভিভাবক ছালামত উল্লাহ সিকদার, শামশুল আলমসহ আরো বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্কুল সড়কের সামনে অবৈধ টমটম পার্কিং দুর্ঘটনার শংকা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা আরো জানান, উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দুটি স্পীট ব্রেকার দেওয়া হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা শংকামুক্ত হতো বলে তাদের ধারনা। এপ্রসংগে উখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার হারুন আর রশিদ জানান, তার স্কুলের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, স্কুলের সামনে সী লাইন, টমটম ও এনজিওদের ব্যবহ্নত যানবাহনের চাপে যে কোন সময়ে মারাত্ক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, শিক্ষার্থী ও পথচারীদের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited