শিরোনাম
মনির হোসেন বাপ্পি | ১৯:৫৭, নভেম্বর ২৭, ২০২০
পুরো বিশ্বে বিশেষ করে বাংলাদেশে মহামারী করোনা ভাইরাসের আক্রমণে লকডাউন ২৫ মার্চ হতে শুরু হয়ে ৩১মে পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই ৩মাসে সাধারণ জনজীবনে যেমন বিপর্যয় ঘটেছে, তেমনি ব্যবসা বাণিজ্যও দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন কিংবা অনেকে পরিবারসহ গ্রামে স্থানান্তরিত হয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম সুদে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষনা করেছেন, যা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নিকট পৌঁছাতে আরো সময়ের প্রয়োজন। শপিং কমপ্লেক্সে, ছোট বড় মার্কেটে যারা দোকানদারী করেন তারা সারাবছর কোন রকমে ব্যবসা চালিয়ে গেলেও রমজান মাসে কিছুটা ব্যবসা করে পুঁজির সংস্থানে বড় সুযোগ পান। কিন্তু এবছর সে সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন এসকল ব্যবসায়ীরা।
করোনার প্রথম ঢেউ কাটিয়ে যখন আবার পুনরায় ধীর গতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হতে যাচ্ছিল ঠিক তখনই দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় আবারও শংকিত ব্যবসায়ী সমাজ। করোনাকালীন লোকসান সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে শামিল ব্যবসায়ীদের এখন ত্রাহি অবস্থা। এ অবস্থায় চলছে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ সময়সীমার কাউন্টডাউন। অনেক ব্যবসায়ীই এখনও সেমুখো হতে পারেননি। প্রতিবছর নভেম্বর মাসে শেষ সময়ের আগেই অন্তত দোকানদাররা নিয়মিত আয়কর রিটার্ন দাখিল করে আসছেন যুগের পর যুগ।
এমতাবস্থায় ব্যবসায়ীদের জন্য এ সময়সীমা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। এ যৌক্তিক দাবির কথা চিন্তা করে সরকারের উচিত এ বছর আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানো। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন অতিরিক্ত জরিমানা থেকে রেহাই পাবেন তেমনি সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় গতিশীলতা পাবে।
মানবিকতায় বিশ্বে অনন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয় ছোট বড় ব্যবসায়ীদের এ কষ্টের কথা বিবেচনা করে তাদের সুযোগ দেন সেটাই প্রত্যাশা আমাদের মতো ক্ষুদ্র, মাঝারি ও তরুণ উদ্যোক্তাদের।
লেখক : লিও মোঃ মনির হোসেন বাপ্পি, কার্য্যকরী সদস্য, সিংগাপুর ব্যাংকক মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতি, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম।
Developed By Muktodhara Technology Limited