শিরোনাম
লোহাগাড়া প্রতিনিধি | ২০:৪৬, নভেম্বর ২৭, ২০২০
লোহাগাড়া চরম্বার যুবলীগ নেতা খানে আলমের রোষানলের শিকার হলেন এক শিক্ষকের ছেলে আবদুল্লাহ মোঃ আউয়াল ওরফে সুজন। টানছেন মিথ্যা মামলার ঘানি ।
খানে আলম উপজেলার চরম্বার মাইজবিলা এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে ও চরম্বা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদের সভাপতি।
ভুক্তভোগী সুজন উপজেলার চরম্বা মাইজবিলা এলাকার আবদুস সবুরের ছেলে।
সুজনের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে না পাওয়ায় তাকে মিথ্যা ইয়াবা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবী করেছেন তার পিতা আবদুস সবুর।
এব্যাপারে তিনি ছেলেকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিকার চেয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতকানিয়া সার্কেল) ও লোহাগাড়া থানার ওসি বরাবর আবেদন করেছেন বলে জানান।
ভুক্তভোগীর পিতা আবদুস সবুর জানান, আমার ছেলে সুজন প্রবাসী ও পেশায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। আমি অসুস্থ থাকায় গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বান্দরবান, চট্টগ্রাম টাউন ও পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলাম। সুজন ওই সময় আমার সাথে ছিল। কিন্তু তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর একটি সাজানো মাদক মামলায় আসামী করা হয়েছে; অথচ ওই সময় সে এলাকায় ছিল না। ঘটনার কিছুদিন আগে যুবলীগ নেতা খানে আলম আমার ছেলে সুজনের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় সে লোকজন নিয়ে আমার আম বাগানের বেড়া এবং শতাধিক উন্নতজাতের আম চারা নষ্ট করে। আমি থানায় মামলা করতে চাইলে তার বড় ভাই স্থানীয় ইউপি সদস্য বিষয়টি মিমাংসার আশ্বাস দেন। চাঁদা না পেয়ে খানে আলম ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ও আমার ছেলের ক্ষতি করার চেষ্টা করতে থাকে। খানে আলম ষড়যন্ত্র করে ব্যাক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে তার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়াও অনুসন্ধানে উক্ত খানে আলমের বিরোদ্ধে পাহাড় কাটা, সংখ্যালঘু নারীর জমি দখল, রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধনে সহায়তাসহ এলাকায় নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে খানে আলম তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এব্যাপারে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, নিরপরাধী কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited