শিরোনাম
মিরসরাই প্রতিনিধি | ২১:০৩, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
মিরসরাইয়ের বাওয়াছড়া লেকে পরিবার নিয়ে বিকেলে ঘুরতে যান নুরুল মোস্তফা। লেক ঘুরে ফেরার সময় রেললাইনে ছবি তুলতে যান নুরুল মোস্তফার বড় ছেলে শ্রবণ প্রতিবন্ধী আবদুল মালেক (২৩)। এসময় পেছন থেকে আসা ট্রেনের শব্দ শুনতে পাননি সে। ট্রেন অতি নিকটে চলে আসায় ভাইকে বাঁচাতে দৌঁড়ে যায় বোন সুমাইয়া আক্তার (১৪)। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর বাওয়াছড়া সড়কে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নুরুল মোস্তফা চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার বাসিন্দা। তিনি উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের প্যারাগন ফিড মিলে চাকুরী করতেন। মিরসরাইয়ে চাকুরীর সুবাদে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ওয়াহেদপুর এলাকায় বসবাস করে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শাখাওয়াত হোসেন জানান, শুক্রবার বিকেলে নুরুল মোস্তফার স্ত্রী, ছেলে মেয়েসহ ওয়াহেদপুর বাওয়াছড়া লেকে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে আসার পথে রেললাইনে ছবি তুলছিল মালেক। সে শ্রবণ প্রতিবন্ধি। এসময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী ট্রেন আসছে দেখে ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে বোন সুমাইয়াও প্রাণ হারান। ভাই বোনের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশের ওসি কামরুল হাসান বলেন, মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুইজন মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।
Developed By Muktodhara Technology Limited