শিরোনাম
এম.হোসাইন মেহেদী, লোহাগাড়া প্রতিনিধি | ১৩:০১, জানুয়ারী ৪, ২০২১
সাতকানিয়া সরকারী কলেজ থেকে বিএসসি পাস করে মার্স্টাসে ভর্তি হয়েছেন। পাশাপাশি সাতকানিয়া আফজলনগর এসডিএফ দাখিল মাদ্রাসায় খন্ডকালীন শিক্ষকতার চাকরি নিয়েছিলেন। কিন্তু বেতন কম হওয়ায় সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছিল। শেষে কোয়েল পালন শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যেই পান সাফল্য। কোয়েল পাখি ও ডিম বিক্রি করে এখন তাঁর সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। কঠোর পরিশ্রমী ও হার না-মানা এই যুবকের নাম মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। বয়স মাত্র ২৬। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের পহরচান্দা এলাকার মীর আহমদের ছেলে। বিয়ে করেছেন গেল বছর। ফুটফুটে এক কন্যা সন্তুানের জনক। হতাশার অন্ধকারে ডুবে যাওয়া এই যুবক কোয়েল পাখি পালন করে এখন দেখছেন সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন।
মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, তাঁর খামারে প্রতিদিন গড়ে ৬০০ কোয়েল ডিম পাড়ে। প্রতিটি ডিম ২ টাকা দরে বিক্রি হয়। কোয়েলের বাচ্চা উৎপাদনের জন্য একটি যন্ত্র কিনেছেন। ওই যন্ত্র দিয়ে ১৮দিন পরপর ১৬০০টি বাচ্চা উৎপাদন করা যায়। উৎপাদিত কোয়েলের বাচ্চাগুলো লোহাগাড়াসহ আজিজনগর, বাঁশখালী, কেরানীহাট, বান্দরবান থেকে নিতে ক্রেতা আসেন। তিনি আরো বলেন, “প্রতিদিন গড়ে ৬০০ ডিম বিক্রি করি। দুই মাস পরপর ১৫০০ কোয়েল পাখি বিক্রি করি। প্রতিটি পাখি ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে তাঁর বিশ হাজার টাকা আয় হয়।”
মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, “খামারকে আরও সম্প্রসারণ করার ইচ্ছা আছে। স্বপ্ন আছে আশপাশের খালি জমি ইজারা নিয়ে সেখানে অনেক বড় করে খামার করার। খামারে এলাকার কিছু বেকার যুবককে কাজ দেব।”
এব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম দেওয়ান জানান, “কোয়েল পাখির মাংস খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। দিন দিন এই পাখির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। হেলাল কোয়েল পাখির খামার দিয়ে এলাকায় অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর খামারে উৎপাদিত কোয়েল পাখি ও ডিম দেখে এলাকার কিছু বেকার যুবক উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন।”
Developed By Muktodhara Technology Limited