image

আজ, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হামলা ভাঙচুরের পর আবারও একতরফা মিথ্যা মামলা : আমির খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১৭:৪৪, জানুয়ারী ২১, ২০২১

image

পার্টি অফিসে বোমা হামলা, গাড়ী ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের মারধর, গণসংযোগে বাধা, মাইকিংয়ে বাধা, মাইক ভাঙচুর, পোস্টার ছিড়ে ফেলা, গণসংযোগে বাধার পরও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন বলছে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রয়েছে, অথচ সেটা অনেক আগেই উল্টে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় নগর বিএনপি কার্যালয় নসিমন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু বলেন, একদিনে ৩টি হামলা করেও পোষায়নি বলেই আবারও তিনটি মিথ্যা মামলায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। চট্টগ্রামে একদিনে তিনটি হামলার ঘটনা ঘটলো অথচ মামলা দিলো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে। এটাই শেখ হাসিনা সরকারের তেলেসমাতি। নির্বাচনকে যদি এতই ভয় পান, তবে সরাসরি তালিকা প্রকাশ করে দিলেইতো হয়, কোথায় কে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন নির্বাচন খেলায় জানমালের এত ক্ষয়ক্ষতি থেকে দেশবাসী রক্ষা পেতো

শুধু নির্বাচন কেন দেশের কোথাও আজ স্বস্থি নেই। খুন গুম লুটতরাজের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে প্রিয় মাতৃভূমিকে আজ বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছেন। দলীয় নমিনেশন পেলেই নির্বাচিত হয়ে দুর্নীতি আর অপরাধের খলনায়ক বনে যাওয়ার অপার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না তাদের সন্ত্রাসী গুন্ডাবাহিনীর লোকজন। তাইতো নিজেদের অন্তঃকোন্দলেও লাশ পড়ছে সারাদেশে।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলনের অংশ হিসেবেই বিএনপি নির্বাচনে ময়দানে আছে। কিন্তু নির্বাচনের নামে তামাশার আয়োজন করে তারা নিজেদের ভবিষ্যতে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপি’র এ সিনিয়র নেতা।

এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় জেনেও বিএনপি দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে ভোটের মাঠে আছে। জণগন দেখছে কিভাবে রাতেও ভোটের আয়োজন হয় আমাদের দেশে।

আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচনী কার্যক্রম চালানোর জন্য আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছি। নির্বাচন যাতে সচল থাকে, নির্বাচন ব্যবস্থা যেন সচল থাকে। কিন্তু যারা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী তারা কোন রাজনৈতিক দলের নয়। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে একটি রেজিম। পতেঙ্গা থেকে শুরু করে কালুরঘাট পর্যন্ত তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন করছে।’ 

বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল করতে গিয়ে তারা আমাদের ওপর বারবার হামলা করছে। ঘরে থাকতে দিচ্ছে না। পুলিশি হয়রানি করছে। আগন্তুক মামলা দিচ্ছে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। ২০-২৫ জনের গ্রুপ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়িতে হানা দিচ্ছে। এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলছে। এ নির্বাচনকে বানচাল করতে জনগণ যেন ভোট না দিতে পারে সেজন্যে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে।’ 

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের আগামী যে ক’দিন আছে তা কিভাবে কাটবে আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। যেখানে পার্টি অফিসের ভিতরে রাতে অতর্কিত হামলা, প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সেখানে নেতাকর্মীদের প্রচারণা কার্যক্রম অনিশ্চয়তায় রয়েছে। সিনিয়র নেতাদের বাসায় বাসায় পুলিশ গেছে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তারা ধমক দিচ্ছে। প্রার্থীদের বলছে- এলাকা ছেড়ে চলে যেতে। তারা এমন করার কারণ হচ্ছে- জনগণ যেন ভয় পায়। ভোট দিতে না যায়। যেন তারা একপক্ষীয় নির্বাচন করতে পারে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বলতে হলে নির্বাচিত সরকার বলতে হবে। যারা ক্ষমতা জোরপূর্বক দখল করে তাদেরকে রেজিমের বাইরে কিছু বলার সুযোগ নেই। সুতরাং আমাদের প্রতিপক্ষ হচ্ছে একটি রেজিম। আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে চাচ্ছি কিন্তু তারা নির্বাচন চায় না। তারা একপক্ষীয় নির্বাচন করে জনগণের ভোটাধিকার নষ্ট করতে চাই। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার যত পথ তারা সবই বেছে নিয়েছে।’

এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সাহসের সাথে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার আহবান জানান। সরকারী চাপের কাছে মাথা নত করে জণগনের বিপক্ষে গেলে একদিন তাদেরওকে জনগনের সন্মুখে জবাবদিহি করতে হবে বলে তিনি দাবী করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মেয়র পদপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্করসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



image
image

রিলেটেড নিউজ

Los Angeles

১২:৪১, মে ১৩, ২০২২

এক হাজার অটোরিক্সা ডাম্পিং করলো চট্টগ্রাম বিআরটিএ


image
image