শিরোনাম
মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান | ২০:৩৫, মার্চ ৫, ২০২১
৫ই মার্চ তারিখে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের বিশেষ তাৎপর্য ছিল। ছাত্রলীগের কিছু অংশ অতি বিপ্লবী হয়ে হিংসাত্মক কাজে লিপ্ত হতে যাচ্ছিল। এদের সংযত করার পাশাপাশি আগামী দিনে স্বাধীনতার সংগ্রামে তাদের প্রস্তুত করার জন্য এ ভাষণ খুবই দরকার ছিল। বঙ্গবন্ধু হয়তো ধারণা রাখতেন যে যুদ্ধের সময় এই শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস একান্ত আবশ্যক হবে। একই সাথে যুদ্ধপরবর্তী দেশগঠনেও এদের অমূল্য অবদান রাখতে হবে। এ সময়ে তিনি উপস্থিত শিক্ষক-গবেষকদিগের প্রতিও মনোযোগ দেন। উপস্থিত শিক্ষক-ঐতিহাসিকদের উদ্দেশে তিনি নতুন করে বাংলার ইতিহাস লেখার কারণ ও প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের আগে ছাত্রলীগকে আন্দোলিত করতে এ সমাবেশ বেশ ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হয়। দৈনিক ইত্তেফাকে ৫ই মার্চে নিচের দুইটি সংবাদ পরিবেশন করে-
‘বিপ্লবের প্রয়োজন দেখা দিলে সে ডাক আমিই দিব’
ছাত্রলীগের ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠান শেখ মুজিবের ঘোষণা
আওয়ামী লীগ প্রধান ও দেশের বৃহত্তম সংগ্রামী ছাত্র প্রতিষ্ঠান পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবর রহমান গতকাল (সোমবার) রমনা ময়দানের ছাত্রলীগের ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অথিতির ভাষণ দান প্রসঙ্গে ঘোষণা করেন যে, দেশে যদি বিপ্লবের প্রয়োজন দেখা দেয়, তবে সে বিপ্লবের ডাক আমিই দিব, আমিও কম বিপ্লবী নই। যদি ৬-দফা আদায়ের সংগ্রামকে ষড়যন্ত্রকারিরা ব্যর্র্থ করিয়া দেয়, তবে কত দফা দিতে হইবে তাহাও আমার জানা আছে।
ছাত্রলীগ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন যে, অতি বিপ্লবী কয়েকটা শ্লোগান বা রাতের অন্ধকারে আকস্মিকভাবে নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করার শিভালরির মধ্য দিয়া বিপ্লব হয় না। বিপ্লবের উদ্ভব ঘটে দেশের মাটি হইতে এবং বিপ্লব উন্মেষের একটা নির্ধারিত কালও আছে। বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ সদস্যদের আস্তে চলননীতি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়া নীতির ভিত্তিতে দলীয় ঐক্য ও সংহতি অটুট-অক্ষুণ্ণ রাখার আহবান জানান। তিনি বলেন যে, শক্তিশালী সংগঠন নষ্ট করিলে ৬-দফা ও ১১-দফা আদায়ের সংগ্রাম দুর্বল হইবে আর ৬-দফা ও ১১-দফা ব্যর্থ হইলে দেশে অনাহুত একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হইবে। শেখ সাহেব ছাত্রসাধারণকে আশ্বাস দিয়া বলেন যে, তোমরা ৬-দফা ও ১১-দফা আদায় করার সংগ্রামে আমাদেরকে সাহায্য কর। তোমাদেরকে আমি এইটুকু আশ্বাস দিতে পারি, ৬ দফা ও ১১ দফা ব্যর্থ হইলে কয় দফা দিতে হইবে তাও আমার জানা আছে।
ছাত্রলীগের সংগ্রামী ঐতিহ্য বজায় রাখার আহবান জানাইয়া শেখ মুজিব বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বসিয়া নাই। তাহারা এখনও বাঙালীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য অর্থ ব্যয় করিতেছে- তাহারা জেলায় জেলায় গোপন সভা করিয়া নির্বাচনের ফলাফলকে বানচাল করার চেষ্টায় মাতিয়াছে। আমি তাহাদের সতর্ক করিয়া দিয়া বলিতে চাই, তোমরা আমাদের সঙ্গে আর খেলিও না, কারণ এই খেলাই তোমাদের শেখ খেলা হবে। এইসব অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ আন্দোলন গড়িয়া তুলিতে হইতে পারে; তাই ছাত্রলীগের সংগ্রামী ঐতিহ্য বজায় রাখিতে হইবে।
ছাত্র ও দেশবাসীকে সতর্ক করিয়া দিয়া শেখ সাহেব বলেন, আপনারা ভুলিয়া যাইবেন না যে, ষড়যন্ত্রকারীরা শক্তিশালী, তাহাদের অর্থ আছে, অস্ত্র আছে, এজেণ্ট রাখার ক্ষমতা আছে। আপনারা মনে করিবেন না যে, নির্বাচনে জিতিয়াছেন বলিয়া তাহারা সহজে আপনাদের হাতে ক্ষমতা ছাড়িয়া দিবে। আর এ কথাও ভাবিবেন না যে, ক্ষমতা হস্তান্তরের পরে তাহারা হাত গুটাইয়া বসিয়া থাকিবে।
নির্বাচনে বিজয়ের তাৎপর্য ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে শেখ সাহেব বলেন যে, নির্বাচনে বিজয়ী হইয়া লাভ হইয়াছে এইটুকু যে বাঙ্গালী সর্বপ্রথম ঐক্যবদ্ধ হইয়াছে। তিনি বলেন যে, নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়া আমরা শুধু এক পা আগাইয়াছি, শাসনতন্ত্র রচনা করিলে দুই পা আগাইব, সরকার গঠন করিলে তিন পা আগাইব আর মানুষের কল্যাণ করিতে শুরু করিলে আমরা চার পা আগাইব।
চিন্তা পাপ
শেখ সাহেব বলেন যে, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে বাদ দিয়া বাংলার সংস্কৃতির কথা চিন্তা করাও পাপ। কিন্তু আমাদের দেশের এমনি অবস্থা যে, আমরা রবীন্দ্রনাথকে পরিত্যাগ করিয়াছি আর নজরুল সঙ্গীতকে খুশিমত সংশোধন করিয়া লওয়া হইয়াছে মুসলমানী বানাইবার জন্য, হিন্দুয়ানা সাফ করিবার জন্য।
নিজের চিন্তাধারা প্রচার করুন
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম তাঁহার ভাষণে বলেন, ভাষা আন্দোলন এদেশের মানুষের মনে যে আলোড়ন সৃষ্টি করিয়াছিল, তাহার পিছনে ছিল ছাত্রলীগের চিন্তাধারা। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের জন্মলগ্ন হইতে যে চিন্তাধারার উন্মেষ হইয়াছিল, ছাত্রলীগের নির্ভীক কর্মীদের নিরলস সংগ্রাম এবং দীর্ঘ ত্যাগ-তিতিক্ষার ফলে তাহা আজ ফুলে-ফলে পূর্ণ হইয়া একটি সঠিক পরিণতির দিকে অগ্রসর হইতেছে। সংগ্রামী ছাত্র প্রতিষ্ঠান পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের এই ত্যাগ এবং নিরলস সংগ্রামের কথা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকিবে বলিয়া তিনি মন্তব্য করেন।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, আইয়ুব শাসনামলে পুঁজিবাদ সামন্তবাদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণ এবং বাংলাকে বঞ্চনা-নিপীড়নের শিকারে পরিণত করার বিরুদ্ধে সংগ্রামে, ১৯৬৮ সালের ৭ই জুনের আন্দোলন, ৬-দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৮ সালের শেষভাগে বাংলা দেশে আইয়ুব বিরোধী গণ-বিস্ফোরণে ছাত্রলীগের বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ প্রসঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগ কোনদিন বিপদের মুখে ও চরম ত্যাগের প্রশ্নে পিছপা হয় নাই। ছাত্রলীগের অনড়-অটল আদর্শ প্রীতির উল্লেখ করিয়া তিনি বলেন, ছাত্রলীগ ১১-দফা হইতে বিচ্যুত হয় নাই। তিনি আরও বলেন, ১১-দফা দাবীর অনুসারীদের অনেকেই উহা হইতে বিচ্যুত হইয়া বর্তমানে ১১-দফার বিজয়ের পটভূমিকার নূতন শ্লোগান দিতে শুরু করিয়াছেন। ইহারা জনতার জয়কে নস্যাৎ করার জন্য নানারকম বিপ্লবের বুলি আওড়াইতেছে বলিয়া উল্লেখ করিয়া সৈয়দ সাহেব বলেন, কিভাবে বিপ্লব হইবে এবং কোন্ পথে মুক্তি আসিবে তাহাও ইহারা জানে না। এই শ্রেণীর বিপ্লবীরা জনপ্রতিনিধিদের হত্যা করিয়া বিদেশী সমর্থনে কোন কিছু করার চিন্তায় আছে। কিন্তু এই পথে তাহারা কিছু করিতে পারিবে না বলিয়া তিনি মন্তব্য করেন।
সৈয়দ নজরুল তাঁহার ভাষণের উপসংহারে অন্যের মুখরোচক শ্লোগানে বিভ্রান্ত না হইয়া নিজেদের চিন্তাধারা জনসমক্ষে সাহসিকতার সহিত তুলিয়া ধরার জন্য ছাত্রলীগ কর্মীদের প্রতি আহŸান জানান। কৃষি ও শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে জনসাধারণের সুখ-সমৃদ্ধির নিশ্চয়তাবিধান এবং একচেটিয়া পুঁজিবাদের ধ্বংসস্তূপের উপর সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা দান করার জন্য তিনি ছাত্র-সমােেজর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ডঃ মোজাফফর আহমদ চৌধুরী আলোচনা সভায় ভাষণদানকালে ছাত্রসমাজকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পর্কে ধীরস্থির চিত্তে চিন্তা করার উপদেশ দেন। তিনি বলেন, বাংলার অভাব কেন, কেন বাংলার এই দুর্দশা এবং কিভাবে ইহা হইতে ত্রাণ পাওয়া যাইবে ছাত্রসমাজকে তাহা অনুধাবন করিতে হইবে। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রত্যেক ব্যক্তির বিকাশের স্বীকৃতি কেবল গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায়ই সম্ভব বলিয়া বিশিষ্ট রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ডঃ চৌধুরী অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ছাত্রসমাজ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অনুবাদন করিতে না পারিলে গণতন্ত্র বা সমাজন্ত্র কোনটাই অর্জন করা সম্ভব হইবে না। এইক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ সঠিকপথে অগ্রসর হইতেছে বলিয়া তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি এই প্রসঙ্গে ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের বলিষ্ঠ ভূমিকার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করিয়া বলেন, ১৯৫২ সালে ছাত্রলীগ বাংলা ভাষা বিরোধী চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখিয়া না দাঁড়াইলে এবং রক্ত দান না করিলে বাংলা রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পাইত না।
তিনি গত সাধারণ নির্বাচনের সাফল্যের কথা উল্লেখ করিয়া বলেন, এই নির্বাচনে বাংলা তাহার স্বকীয়তা ও অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাইয়াছে। ডঃ মোজাফফর আহ্মদ চৌধুরী বাঙ্গালীর জাগরণে শেখ মুজিবর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি তাঁহার নেতৃত্বের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানাইয়া বলেন, বাংলায় ৭ কোটি মানুষ শেখ সাহেবের ৬-দফা ও আওয়ামী লীগের সহিত একাত্মবোধের কথা ঘোষণা করিয়াছে। বাংলার মানুষের এই রায় বাস্তবায়নের পথে নির্মম আঘাত আসিলেও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ পিছপা হইবে না বলিয়া তিনি দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করেন। তিনি বাঙ্গালীর এই আত্মপ্রকাশের প্রয়াসকে বানচালের জন্য সকলের অলক্ষ্যে অশুভ শক্তির পাঁয়তারা শুরু হইয়াছে বলিয়া আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই অশুভ শক্তির যে-কোন বাঁধা বিপত্তিকে ছাত্রসমাজ প্রতিহত করিতে সক্ষম। বাংলা নিজেই নিজের পায়ের শক্তির উপর নির্ভর করিতে পারে বলিয়া তিনি দৃঢ় অভিমত প্রকাশ করেন।
নতুন করিয়া বাঙ্গালীর ইতিহাস লিখুন-
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান গতকাল (সোমবার) সকালে সবুজ রমনায় আয়োজিত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসবে প্রধান অতিথির ভাষণদানকালে নূতন করিয়া বাঙ্গালীর ইতিহাস রচনা করার জন্য দেশের শিক্ষাবিদদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। একটি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি গঠনে সেই জাতির নিজস্ব ইতিহাসের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করিয়া শেখ সাহেব বলেন, বাংলার যে ছেলে তাহার অতীত বংশধরদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানিতে না পারে, তবে সেই ছেলে সত্যিকারের বাঙ্গালী হইতে পারে না। বিভিন্ন সময়ে বাংলার মানুষ যে সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং বীরত্বের পরিচয় দিয়াছে, বাংলার ছেলেদের সেই ইতিহাস পাঠ করিতে হইবে। এই ইতিহাস পাঠ করিয়া যেন বাংলার ভবিষ্যৎ বংশধরগণ তাহাদের গৌরবময় অতীতের পরিচয় পাইয়া গর্ব অনুভব করিতে এবং উন্নতমস্তকে দাঁড়াইতে পারে।
স্বাধীনতার জন্য বাঙ্গালীর আত্মত্যাগ ও বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করিয়া তিনি বলেন, স্বাধীনতার জন্য বাংলার হাজার হাজার ছেলের আন্দামনে দ্বীপান্তর হইয়াছে, বাংলার বহু সন্তান ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়াছে, চট্টগ্রামের পাহাড়ে অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করিয়া ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়িয়াছে। সিপাহী বিদ্রোহ বারাকপুর হইতে শুরু হইয়াছিল, সেদিন বাঙ্গালীদের কেহই বেঈমানী করে নাই। বড় নেতাদের দেশের লোকেরাই বেঈমানী করিয়াছিল। তিনি আরও বলেন, ইংরেজ ভারতবর্ষ দখলের সময় বাংলার মুসলমান ও বাঙ্গালী শাসনকর্তা সিরাজদৌল্লার হাত হইতে ক্ষমতা কাড়িয়া নিয়াছিল, কিন্তু সেদিন পাঞ্জাব ও তৎসংলগ্ন এলাকায় কোন মুসলমান শাসকের হাত হইতে ইংরেজ ক্ষমতা নেয় নাই- নিয়াছিল অমুসলিম শাসকর্তা রণজিং সিংহের হাত হইতে।
পরবর্তীকালে বাংলার বারাকপুর হইতেই সিপাহী বিদ্রোহের সূচনা হইয়াছিল। সেদিন বাংলায় বেঈমানী করার লোক পাওয়া যায় নাই, বড় নেতাদের দেশের লোকেরাই বেঈমানী করিয়াছিল।
তিতুমীর বাঁশের কেল্লা বানাইয়া সংগ্রাম করিয়া শহীদ হইয়াছেন। তিনি গভীরভাবে আক্ষেপ করিয়া বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে ইহার উল্লেখ নাই।
স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার এই সূর্য সৈনিকের বীরত্ব ও ত্যাগ-তিতিক্ষার গাঁথাভিত্তিক ইতিহাস রচনার আহবান জানাইয়া শেখ সাহেব দৃপ্তকণ্ঠে বলেন, এইবার আর তাহারা ব্যান (নিষিদ্ধ) করিতে পারিবে না। যদি ব্যান করার চেষ্টা করে তবে আমরাই তাহাদের ব্যান করিয়া দিব।
তিনি আইয়ুব আমলে স্বাধীনতা আন্দোলনে উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের উল্লেখ করিয়া বলেন, এই চলচ্চিত্রে কোন বাঙ্গালী নেতার স্বীকৃতি নাই।
আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙ্গালীদের ভাগ্যের সীমাহীন বিড়ম্বনার উল্লেখ করিয়া বলেন, বাংলার টাকায় বিরলা-সায়গল আদমজী, দাউদ, ইস্পাহানী, ভালমিয়া গড়িয়া উঠিয়াছে, আর বাংলার মানুষ না খাইয়া মরে। এই জন্যেই আওয়ামী লীগ আগুনে ঝাঁপ দিয়াছে।
লেখকঃ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, পরিচালক, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ।
দানবের সঙ্গে সংগ্রামের জন্য যেকোন পরিণতিকে মাথা পাতিয়া বরণের জন্য আমরা প্রস্তুত : বঙ্গবন্ধু
৩ হইতে ৬ মার্চ প্রতিদিন সকাল ৬টা হইতে দুপুর ২টা পর্যন্ত সমগ্র প্রদেশে হরতাল পালন করুন : বঙ্গবন্ধু
২ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সাংবাদিক সম্মেলন
আসুন, পরিষদেই সমাধান খোঁজা হইবে : বঙ্গবন্ধু
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদা : প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ
ঘুরে আসুন সাজেক, খেয়াল রাখবেন কিছু বিষয়ে
নারী ও শিশু নির্যাতন: সভ্য সমাজের বর্বর বার্তা
Developed By Muktodhara Technology Limited