image

আজ, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়ন নির্বাচনে ইয়াবা কারবারীও নৌকা চান

কক্সবাজার ব্যুরো    |    ২৩:১৫, মার্চ ৮, ২০২১

image

ক্লিন ইমেজ, গ্রহণ যোগ্য ও বির্তকের উর্ধে ব্যক্তিদের নৌকার প্রতীক দেওয়া দাবী করেছে তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়ন নির্বাচনে ইয়াবা কারবারী ও বিদ্রোহীরা নৌকা প্রতীকের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরুর খবর নিয়ে এলাকায় আওয়ামীলীগ ঘরনার লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

ত্যাগি দলীয় নেতার হাতে নৌকা প্রতীক দেওয়া হোক, এমনটাই দাবী করেছেন তৃনমুল পর্যায়ের আওয়ামী কর্মীরা।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ জেলা আওয়ামীলীগের সভায় স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন, বির্তকিত, ইয়াবা কারবারী, বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে নৌকা তুলে দেওয়া হবে না। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনারও স্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে  দলের বিরুদ্ধে, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা কোন ব্যক্তিকে নৌকা তুলে দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বার বার ঘোষণা দেওয়ার পরেও তৃণমূলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সর্বশেষ সীমান্তবর্তী এলাকা সাবরাং ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনে এরকম সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌঁড়ঝাপে ঐতিহ্যবাহী দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। 

জানা গেছে, টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলটির মনোনীত প্রার্থী হতে উক্ত ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তথা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন ও দলের ইউনিয়ন সভাপতি আবুল কালাম মরিয়া হয়ে পড়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তিদ্বয় গেল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে ছিলেন সবচেয়ে বেশী সোচ্চার। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকধারি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন প্রয়াত এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। অথচ উল্লিখিত ইউনিয়ন দলীয় নেতাদ্বয় দলীয় প্রতীকধারি প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর সরাসরি বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করেছিলেন বিদ্রোহী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরুল আলমের বিরুদ্ধে। তদুপরি দুইজনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইয়াবা কারবারিদের তালিকায়ও তাদের নাম রয়েছে।

শাহপুরির দ্বীপ সাংগটনিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগটনিক সম্পাদক ও ত্যাগি আওয়ামী পরিবারের সন্তান আবদুল হান্নান এ বিষয়ে বলেছেন-‘আমরা তৃণমূলে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগটন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। আমরা তৃণমুলের নেতৃত্বও চাই ত্যাগি নেতা কর্মীদের হাতে আসুক। দলের যেসব নেতা কর্মী দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন এরকম নেতাদের হাতে আবারো বঙ্গবন্ধুর নৌকা তুলে দেওয়া হোক এটা একজন ত্যাগি কর্মীর কিছুতেই কামনা হতে পারে না।’

এদিকে, সম্প্রতি সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দের জন্য ৪ জনের নাম কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কাছে প্রেরণ করেছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের একটি দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে, সাবরাং ইউনিয়ন আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জন্য ৪ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এরা হচ্ছে, মো. ঈসমাইল সিআইপি, মো. সোনালী, নুর হোসেন ও আবুল কালাম।

নৌকার প্রতীক প্রত্যাশী  মো.ইসমাইল সিআইপি একজন শীর্ষ রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তিনি কক্সবাজার জেলা যুবলীগ নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটিরভাইস প্রেসিডেন্ট, সংযুক্ত আরব আমিরাত বিজনেস কাউন্সিলের সদস্য, কক্সবাজার ক্লাবের সদস্য , ইসমাইল গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান, এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের মেম্বার। এলাকায় তিনি একজন ক্লিন ইমেইজের ব্যক্তি। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা মো. ইসমাইল সিআইপি রয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে দানবীর ও উপকারী একজন মানুষ।

নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী সোনালী শাহপরীর দ্বীপ সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য। গত নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন।

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন নুর হোসেন। নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ নেন নূর হোসেন। নুর হোসেন সহ তার পুরো পরিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইয়াবা কারবারির তালিকাভুক্ত ও নুর হোসেন ইয়াবার নিয়মিত মামলার আসামী। 

এছাড়াও সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালামও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইয়াবা কারবারির তালিকাভুক্ত ব্যক্তি। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন এবং নৌকা প্রার্থী সোনালীর নৌকাটি প্লাস্টিকের নৌকা বলে প্রকাশ্যে জনসভায় ব্যঙ্গ করেছিলেন।

এছাড়াও উল্লিখিত ব্যক্তিদ্বয় নুর হোসেন ও আবুল কালাম গেল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে ছিলেন সবচেয়ে বেশী সোচ্চার। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকধারি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন প্রয়াত এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। অথচ উল্লিখিত ইউনিয়ন দলীয় নেতাদ্বয় দলীয় প্রতীকধারি প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর সরাসরি বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করেছিলেন বিদ্রোহী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরুল আলমের পক্ষে । তদুপরি দুইজনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইয়াবা কারবারিদের তালিকায়ও তাদের নাম রয়েছে। ইয়াবা কারবারী নুর হোসেন ও আবুল কালামের নাম নৌকার মনোনয়ের জন্য কেন্দ্রে প্রেরণ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল। যে দলটির নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় পতাকা অর্জিত হয়েছে সেই দলটিতে ত্যাগি নেতা কর্মীরও অভাব নেই। একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের সেবা প্রদানের পাশাপাশি দল ও দলীয় প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও ত্যাগি দলীয় নেতার হাতে দলীয় প্রতীক নৌকা তুলে দেওয়ার জন্য এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মীরা জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।



image
image

রিলেটেড নিউজ

Los Angeles

২৩:৫৩, জুন ১৪, ২০২২

রোহিঙ্গা মাঝি আজিম হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড আনাস গ্রেফতার


Los Angeles

২৩:১৯, জুন ১১, ২০২২

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবকের মরদেহ উদ্ধার


Los Angeles

১৩:৫২, মে ৩১, ২০২২

উখিয়ায় অপহৃত রোহিঙ্গা যুবক উদ্ধার


Los Angeles

২৩:৪৯, মে ২৯, ২০২২

উখিয়ায় তিন হাসপাতাল ক্লিনিকের কপাট হলো বন্ধ, প্রশাসন থাকবেনা আর অন্ধ


Los Angeles

০০:৪২, মে ১৫, ২০২২

উখিয়ায় জাল নোট তৈরির সরঞ্জামসহ রোহিঙ্গা গ্রেফতার


Los Angeles

১৫:৪৩, মে ১৪, ২০২২

ভারত থেকে পালিয়ে আসা ৬ রোহিঙ্গা আটক


Los Angeles

১৪:০৩, মে ১৪, ২০২২

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পন্য মজুদের অভিযোগ গ্রেফতার-২


Los Angeles

০০:৩৭, মে ১৪, ২০২২

ঘুমধুমে ৯০ হাজার ইয়াবাসহ আটক ২


image
image