শিরোনাম
ঢাকা ব্যুরো | ২৩:১৩, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী শনিরআকড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে মেহেরুন আক্তার মুনা (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রী ও ধানমন্ডি শংকরে একটি নির্মানাধীন ভবনে কাজ করার সময় জনি (৩২) নামের এক সেনেটারী মিস্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে উদ্ধার তরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
মুনা যাত্রাবাড়ী শেখদি আব্দুল মোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।তার বাবা মৃত মহসিন। মা রুনা বেগম। তাদের বাড়ি গাজীপুর টঙ্গী থানার অারিচপুরে। মায়ের সাথে যাত্রাবাড়ী শনির আকড়া সেকদী এলাকার নোয়াখাইল্লা বাড়িতে ভাড়া থাকততেন।
মা রুনা বেগম জানান, আজকে মুনার স্কুলে এসএসসি ট্রেস্ট পরিক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ; সে পরিক্ষায় সে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। এনিয়েই তার মন খারাপ ছিলো। স্কুল থেকে মায়ের সাথে বাসায় ফিরে। পরে মায়ের অগোচরে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের হুকের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় মুনা। পরে দরজা বন্ধ পেয়ে অনেক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
পরে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। তবে ঢাকা মেডিকেলে আনার পর চিকিৎসক তাকে সন্ধ্যা ৬ টায় মৃত ঘোষণা করেন।
২ ভাইবোনের মধ্যে ছোট মুনা।
এদিকে ধানমন্ডি শংকর এলাকার একটি নির্মানাধীন ৬ তলা ভবনের ৩ তলার ফ্লোরে হাতুড়ি বাটাল দিয়ে গর্ত করার কাজ করছিলো সেনেটারী মিস্ত্রী জনি।
সেনেটারী মিস্ত্রী ঠিকাদার মোঃ খোকন জানান, বিকেলে জনিকে কাজে রেখে তিনি নামাজে যান। নামাজ থেকে এসে দেখেন জনি ফ্লোরে উপুর হয়ে পড়ে আছে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ আব্দুল্লাহ খান জানান, ২টি লাশই মর্গে রাখা হয়েছে। জনির মৃত্যুর বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
Developed By Muktodhara Technology Limited