চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ১নং কধুরখীল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দয়ারাম খালের গর্ভে বিলীন হচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ বিশম্ভর সড়ক। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে প্রায় ১০ হাজার জনসাধারণ ও ২শত পরিবারের চলাচলে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বিশম্ভর সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্হানীয় এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার(৭সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা ও জানা যায়, বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বুক চিরে বয়ে গেছে দয়ারাম খাল। আর দয়ারাম খালের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভারত মহাজনের ব্রীজ-বিশম্ভর সড়ক। প্রায় ১ কিলোমিটার বিশম্ভর সড়কটি কালুরঘাট সংলগ্ন সড়ক দিয়ে ছুরাখালি হয়ে হংশ মহাজনের বাড়ীর পাশ দিয়ে মুন্সিরহাট থেকে মুকবুল চকিদারের বাড়ী হয়ে কধুরখীল ডি.সি সড়কে সংযুক্ত হয়। গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম বিশম্ভর সড়ক। গত ২৫ বছর ধরে দয়ারাম খালের ক্রমাগত ভাঙ্গনের ফলে সড়কটি এখন বিলীন হওয়ার পথে।
এক সময় বিশম্ভর সড়ক দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করতো পাশাপাশি বোয়ালখালী উপজেলা সদর ও ঐতিহ্যবাহী মুন্সিরহাট বাজারে আসা-যাওয়া করতো স্থানীয়রা। বর্তমানে সড়কটি দিয়ে পাঁয়ে হেঁটে চলাচল করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে এক সময়ের ব্যস্ততম বিশম্ভর সড়কটি।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, বিশম্ভর সড়ক দিয়ে এক সময় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করতো সেই বিশম্ভর সড়ক দয়ারাম খালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভাবতে আমাদের খুবই কষ্ট লাগে। সড়কটি দিয়ে এখন পাঁয়ে হেঁটে চলাচল করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে অসুস্থ্য রোগী ও ভারী কোন জিনিস আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন গ্রামের মানুষ।
ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাওয়ার সময় ভয়ে ভয়ে যেতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।
কধুরখীল ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সুভাশিষ দাশ গুপ্ত ( প্রকাশ মুনমুন মেম্বার) বলেন,এলজিইডির আওতায় বর্ণিত সড়কটির রিটার্নিং ওয়ালসহ রাস্তাটি সংস্কার ও উন্নয়ন করার জন্য আমার নিজের উদ্যোগে প্রধান প্রকৌশলী স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে দরখাস্ত দিয়েছি।শুনে আসছি অবহেলিত এই সড়কের কাজ হবে কিন্তু কবে এই সড়কের কাজ হবে সেটা নিয়ে শঙ্কা।
কধুরখীল ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শঙ্কর চন্দ্র বলেন,বিশম্ভর সড়কটি মেরামতের জন্য বিশাল একটি বাজাটের দরকার।এত বড় বাজেট আসলে ইউনিয়ন পরিষদের থাকে না।আমরা স্হানীয় সাংসদ, জনপ্রতিনিধিদের বলে কিছু একটা করা যায় কি না।
কধুরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিউল আজম শেফু বলেন,দীর্ঘ দিন যাবৎ কধুরখীল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন না হওয়ার কারণে কধুরখীল ইউনিয়নে কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি।কধুরখীল ইউনিয়নের সব এলাকার সড়কগুলোর অবস্হা বেহাল।আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চেষ্টা করছি বিশম্ভর সড়ক সহ কধুরখীল ইউনিয়নের অবহেলিত সড়কগুলো সংস্কার করার জন্য।
বোয়ালখালী উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন,বিশম্ভর সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রায় কোটি টাকা লাগবে।স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যদি উপর মহলে তদবির করে বিশাল বাজেট আনতে পারেন তাহলে সড়কটি হতে পারে।এই মুহূর্তে আমাদের করার কিছু নেই।
Developed By Muktodhara Technology Limited