image

পেকুয়া টইটং হিরাবুনিয়া: ধানি জমির সাথে সড়ক একাকার, ঘুচবে কবে এলাকাবাসীর হাহাকার !

image

কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং হিরাবুনিয়া পাড়া মৌলভী মশরফ আলী সড়কের বেহাল দর্শা। এ দর্শার যেন কমতি নেই।  কখন শেষ হবে এই জনদুর্ভোগ এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মৌলভী মশরফ আলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে মূল সড়ক পর্যন্ত, এবং হিরাবুনিয়া পাড়া সুইচগেইট হয়ে হিরাবুনিয়া পূর্ব পাড়া, হাজ্বী বাজার পর্যন্ত গ্রামীণ জনপদের এ সড়কটি এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অবহেলিত ও উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে আছে এ সড়কটি। সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ায় হিরাবুনিয়া পাড়া সড়কটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। 

হিরাবুনিয়া পাড়া সুইচগেইট হয়ে হাজ্বী বাজার ও মৌলভী মশরফ আলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও হাজ্বী বাজার পর্যন্ত সড়কের প্রায় ৪১ চেইনমত অংশ এখন খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। 

এলাবাসীরা জানান-গত ৫০ বছর ধরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সড়কের কোন সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। অনেক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের সময় এসে উন্নয়নের ফুলঝুরি দিয়ে যান। কিন্ত নির্বাচন শেষ হলে বা নির্বাচিত হলে সেই প্রতিশ্রুতি আর মনে থাকে না। সেই উন্নয়নের ফুলঝুরি আর করে না। নিজেকে উন্নয়নে মেতে উঠে। করে নিজের পকেট ভারী। 

সুত্র জানিয়েছেন, টইটং ইউপির হিরাবুনিয়া পাড়া  কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে রাস্তা কাঁচা সড়কে। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে ওই সড়কের ২০ চেইন পর্যন্ত কাঁদা। বৃষ্টি ও আর পিচ্ছিল কাঁদায় সড়ক দিয়ে যাতায়াত প্রায় থেমে গেছে। এতে করে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় ও ইবাদত করাও অনেকটা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। কাঁদায় সড়কটি নাজুক অবস্থায় পরিণত হওয়ায় হিরাবুনিয়া বাসীর যাতায়াতও প্রায় স্থবির হয়ে গেছে। একটি সড়কের কারনে হিরাবুনিয়া গ্রামের আর্থ সামাজিক অবস্থান প্রায় বিপন্ন। 

হিরাবুনিয়া মৌলভী মশরফ আলী জামে মসজিদ সড়ক এবং  দক্ষিণ অংশে সুইচগেইট হয়ে হিরাবুনিয়া পূর্ব পাড়া সড়ক পর্যন্ত ৪১ চেইন মত রাস্তাটিও প্রায় নাজুক অবস্থায়। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রায় ৩ বছর আগে মৌলভী মশরফ আলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সড়কটি মাটি দ্বারা সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে অতি জনগুরুত্বপূর্ন ওই সড়কটিও প্রায় ৫০ বছর ধরে কাঁচায় থেকে গেছে। ওই সড়কটিও ব্রীক সলিন দিয়ে সংষ্কার করা অত্যন্ত জরুরী। কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের যাওয়ার জন্য সড়কটিতে সংষ্কারের জন্য স্থানীয়রা গত কয়েক বছর ধরে বালি, মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করছিলেন। 

ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা নুরুল আবছার জানান, এ সড়কটি মূলত আমার বাড়ীর দক্ষিণ পাশে  দিয়ে নির্মিত হয়েছিল। আমরা একটি সড়কের কারণে চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মাননীয় এমপি মহোদয় কে বলেছি অন্তত কিছু বরাদ্ধ দিলে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হত। 

এলাকাবাসীরা আরো জানান, আসলে এখানে বৈষম্যের মধ্যে রয়েছি। আমরা কঠিন অবস্থায় শুধু দুইটি সড়কের কারণে। আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজ আসা যাওয়া চরম বিপাকে পড়েছে।তাই আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং মাননীয় এমপি মহোদয়ের কাছে সহযোগিতা কামনা করি। 

মসজিদে ইমাম সিরাজুল হক জানান, মসজিদে যাওয়া খুবই কঠিন। আসলে এখানে জরুরী ভিত্তিতে বরাদ্ধ দিয়ে সড়কটি উন্নয়ন করা প্রয়োজন। 

সাবেক ইউপি সদস্য আয়েশা মোনাফ জানান, মানুষের দুর্গতি লাঘব করতে হলে এ সড়কটি দ্রুত সংষ্কার অত্যন্ত জরুরী। 

বর্তমান ইউপি মেম্বার এস,এম আবুল কাশেম জানান, আমি অনেক চেষ্টা করেছি, আমাকে ইউনিয়ন থেকে কোন বরাদ্ধ দেয়া হয়নি। 

পথচারীরা বলেন- এই এলাকায় না আসলে বুঝা যাবেনা রাস্তাঘাটের কি অবস্থা।

টইটং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন -হিরাবুনিয়া পাড়া রাস্তাটি আমি টইটং ইউপির চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকেরা আমার কাছে এসে রাস্তা সংস্কারে দাবি জানান,এই বছর আমাদের এমপি মহোদয় কাছে আবেদন করিলে, তিনি সরজমিনে এসে, সোনাইছড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে হাজ্বী বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিঃমিঃ রাস্তা ফ্লাট সোলিং করে দেন,
পরে বাকি ৪১ চেইন রাস্তা ফ্লাট সোলিং করে দিবে বলেছে,মাননীয় এমপি মহোদয়। 

এ প্রসঙ্গে টইটং ইউপির চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সাহাব উদ্দিন বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে সড়কটি দেখে বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।