image

খোলার আগে স্কুল পরিদর্শনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

image

বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারনে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামীকাল ১২ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে খুলছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল-কলেজগুলোকে পাঠদানের উপযোগি করে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে সকালে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন ডিসি হিল সংলগ্ন সরকারি ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুল ও জামালখানস্থ ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার এন.এম জিয়াউল হায়দার হেনরী, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা আক্তার, সরকারি ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদরুন্নেছা ও শিক্ষকবৃন্দ।

স্কুল পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, করোনা মহামারির কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত দেড় বছর বন্ধ ছিল। যেহেতু সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে কমে এসেছে সেজন্য রোববার থেকে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করবে। তার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করে দিয়ে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ও আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার পাশাপাশি স্যানিটাইজ করা হয়েছে। বাথরুম পরিস্কারসহ শ্রেণি কক্ষগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্কুলের সামনে ওয়াশ বøক স্থাপন করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে স্কুলে বা শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করতে পারে। স্কুলের বে গুলোতে জীবানুনাশক ছিটানো হয়েছে। প্রত্যেকে মাস্ক পরিধান করবে এবং শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রতি বেে  একজন করে শিক্ষার্থী বসবে। আশা করা যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, গত দুইদিন উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মহানগর পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে পাঠদানের উপযোগি হিসেবে মত প্রকাশ করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চালুর জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের করণীয় বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্টভাবে পরিপত্র জারি করেছে। সেই পরিপত্র অনুযায়ী মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটি মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবো। স্কুলের সামনে জটলা না করার জন্য তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষক-কর্মচারীরা স্কুলে এসে আনুষাঙ্গিক কাজগুলো সম্পন্ন করেছে। স্কুল খোলার ঘোষনা পাওয়ার পর মহানগরের ২১৫টিসহ জেলার মোট ২ হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পাঠদানের উপযোগি করে তোলা হয়েছে।