image

নারী বান্ধব অর্থনীতির স্বর্ণযুগ চলছে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

image

সরকার নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা তৈরিতে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যা জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ২০৪১ সালে কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণ ৫০:৫০ উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি।

প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রস্তাবিত ভবন নির্মাণ স্থান পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, যুগ্মসচিব নারগিস খানম ও গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা, সামাজিক নিরাপত্তা ও পণ্য বিপনন নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করছে। সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বহুমুখী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। আমি ২০১৯ সালে এখানে এসে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণের ঘোষণা করেছিলাম। প্রথম ফেজেই চট্রগামে দশ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এই ভবনে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার ও নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের বিক্রয় কেন্দ্র থাকবে। যার মাধ্যমে চট্রগ্রামের নারীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকারের চলমান কার্যক্রম বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, 'বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি কাজ করছে। সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজ থেকে বাল্যবিয়ে নির্মূল করা সম্ভব হবে। 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, চট্রগ্রাম মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের দশতলা ভবন নির্মিত হলে একই স্থান থেকে নারী ও শিশু উন্নয়নে সরকারের সকল সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। 

প্রতিমন্ত্রী পরে মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তাবৃন্দসহ প্রস্তাবিত বহুতল ভবনের স্থান ঘুরে দেখেন  এবং কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল পরিদর্শন করেন।