image

যেনো করোনার সাক্ষ্য বহন করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত আইসোলেশন সেন্টার : ব্যাহত কার্যক্রম

image

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে গত ১২সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এম.পির সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ১১টি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এর মধ্যে ৭নম্বর সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়েছে, 'যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইসোলেশন সেন্টার হিসাবে ব্যব‎হৃত হচ্ছে তা শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবহারের জন্য প্রস্তত করতে হবে।' গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখা থেকে এ সর্ম্পকিত একটি  নির্দেশনা জারি করা হলেও অদ্যাবধি সরানো হয়নি চন্দনাইশ উপজেলার 'দোহাজারী জামিজুরী আহমদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে থাকা শেখ রাসেল আইসোলেশন সেন্টার। বর্তমানে উক্ত বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ৭টি কক্ষে আইসোলেশন সেন্টারের আসবাবপত্র থাকায় কক্ষগুলো তালাবদ্ধ রয়েছে। এতে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

জানা যায়, করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও তত্বাবধানে দোহাজারী জামিজুরী আহমদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তত করা হয়। ২০২০ সালের ৫ জুলাই ৫০শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টারটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধন করেন সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি। আইসোলেশন সেন্টারে এলাকার সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে ঔষধসহ চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও সর্বসাকুল্যে তিন জন রোগী সেবা নিয়েছেন।

বিদ্যালয়ে আইসোলেশন সেন্টার থাকায় কক্ষ সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জাফর আহামদ বলেন, আইসোলেশন সেন্টারের আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়ে শ্রেণি কক্ষ খালী করে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা বলেন, আইসোলেশন সেন্টার সরিয়ে নেয়ার জন্য ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকেও এবিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

দোহাজারী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব জানান, বর্তমানে ৭টি কক্ষে আসবাবপত্র রয়েছে। সেগুলো ৩টি কক্ষে এনে বাকি কক্ষগুলো ছেড়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য কক্ষগুলোও ছেড়ে দেওয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, এখনো পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে সময় নেওয়া হয়েছে। আসবাবপত্রগুলো পর্যায়ক্রমে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আইসোলেশন সেন্টারটি সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। এটি স্থানীয় সাংসদসহ সমাজসেবীদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে খোঁজ-খবর নিতে নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।