image

হাটহাজারীর চারিয়ায় একরাতে দুই বাড়ীতে চুরি

image

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া গ্রামের বোর্ডস্কুল সংলগ্ন দুই বাড়িতে দুর্ধষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার( ২৬ সেপ্টেম্বর)  গভীর রাতে সংঘবদ্ধ চোর দল মুছা ড্রাইভারের বাড়ির রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ তারেকের বাসায় গভীর রাতে  চেতনা নাশক রাসায়নিক পদার্থের স্প্রে প্রয়োগ করে এই ঘটনা ঘটায়।

ভুক্তভোগি পরিবার সূত্রে জানা যায় রবিবার গভীর রাতে কোন এক সময় জানালা দিয়ে চেতনা নাশক পদার্থ স্প্রে করলে ঘরের সবাই অজ্ঞান হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে সেই সুযোগে চোরের দল সিড়ি ঘরের টিন কেটে সুকৌশলে চারিদিকে অত্যন্ত সুরক্ষিত ঘরে  ঢুকে স্বর্ণের চেইন ৪টি, স্বর্ণের কানের দুল ২ জোড়া, শাখা ২ জোড়া, বাসার মাটির ব্যাংক ও  মসজিদের দান বাক্সের টাকাসহ প্রায় নগদ ১ লক্ষ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

মো: তারেক বলেন, প্রতিদিনের  ন্যায় আমাদের পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন কিন্তু বিকাল হয়ে যাচ্ছে ঘুম থেকে কেউ উঠছে না দেখে আশেপাশের প্রতিবেশীরা এসে দেখে পরিবারের সবাই অজ্ঞান, সাথে সাথে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। রিপোর্ট করার সময়েও তিন জন উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি আছে।

এই ব্যাপারে হাটহাজারী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন চোর দলকে শনাক্ত করে শীঘ্রই  আইনের আওতায় আনা হবে। 

এছাড়া একই রাতে পাশের বাড়ি সৈয়দ সুলতান কেরানির বাড়ির ইসহাক ম্যানশনেও অভিনব কায়দায় সবাইকে অজ্ঞান করে ৪ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। 

সৈয়দ ইসহাকের ছোট ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ মাহফুজ বলেন,  রাতে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আমরা মেইন গেটের থালা খোলা রেখে দু ঘন্টা যাবৎ আমরা বাতাসে বসে ছিলাম। বিদ্যুৎ আসার কারণে  রাতের খাবার খেতে বসে খাওয়ার সময় লক্ষ্য করি ট্যাংকের খাবারের পানি গুলো মিষ্টি। ধারণা করা হচ্ছে পানিতে কোনো রাসায়নিক দ্রব্য মিক্স করে দেওয়া হয়েছে। খাবার খাওয়ার সাথে সাথে বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাসার সবাই অজ্ঞান।  মায়ের রুমের দরজা খোলা এবং মায়ের হাতে গলায় কোনো স্বর্ণ নেই। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ এমদাদ হোসেন বলেন, এই বাড়ি গুলোর পাশে আশরাফ আলী সড়ক। সে সড়কে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবনকারীদের আড্ডা চলে। 

এ বিষয়ে এলাকার জনসাধারণ প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এলাকাবাসী জানান মাদকের কারণে এলাকার ছেলেরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং এই মাদকসেবীদের আস্তানা ও আড্ডা উচ্ছেদ করলে এ ধরনের চুরি ডাকাতি বন্ধ হবে।