image

ইম্পেরিয়াল সিটি লায়ন্স ক্লাবের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

image

বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং ইম্পেরিয়াল সিটির রজতজয়ন্তী। প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপনে নগরের জিইসি মোড়স্থ হোটেল মেরিডিয়ানে সন্ধ্যা থেকে আযোজন করা হয় ক্লাব স্কুলিং, পাস্ট প্রেসিডেন্ট অনার ডে, রিসিপশান অব গভর্নরস টিম, নিউ মেম্বারস ইনডাকশন অ্যান্ড সিলভার জুবিলি সেলিব্রেশন।

ক্লাব প্রেসিডেন্ট লায়ন কাশেম শাহ’সহ ক্লাব নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে কেক কেটে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন লায়ন্স জেলার দ্বিতীয় ভাইস গভর্নর লায়ন এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

স্মরণীয় এ মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন লায়ন এ. কাইয়ুম চৌধুরী, লায়ন মোস্তাক হোসাইন ও নাসির উদ্দিন চৌধুরী।

প্রধান অতিথি ক্লাবের ২৫ বছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ১৯৯৬ সালে লায়ন্স জেলা যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন জেলা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনেই ইম্পেরিয়াল সিটির জন্ম। দীর্ঘ এ সময় পাড়ি দিয়ে আসা নিঃসন্দেহে গৌরবের। এ দীর্ঘযাত্রায় লায়ন্স ক্লাব ইম্পেরিয়াল সিটি অসহায় মানুষের সেবায় যেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে, সেটাই ক্লাবের সচেয়ে বড় অর্জন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন এ. কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ২৫ বছর কম সময় নয়, কিন্তু মনে হচ্ছে এই তো সেদিন ইম্পেরিয়াল সিটির জন্ম। যাদের হাত ধরে এ ক্লাবের জন্ম তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, ত্যাগ আর পরিশ্রমের বিনিময়ে আজ রজতজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহে একটা বিশেষ দিন।

প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন মোস্তাক হোসাইন বলেন, লায়ন সদস্যরা নিজ নিজ জায়গা থেকে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে যে ত্যাগ করে যাচ্ছেন তার প্রতিদান নিশ্চয় সৃষ্টিকর্তার কাছে মিলবে। লায়ন্স স্কলারশিপ ট্রাস্ট-যদি শুধু এ একটাই প্রকল্পের কথা বলি তাহলে বলতে হয়, লায়নদের আজকের যে অবদান তার সুফল যুগ যুগ ধরে ভোগ করবে হাজার হাজার মানুষ। প্রাক্তন জেলা গভর্নর লায়ন নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, লায়নিজমে না আসলে আমি বুঝতেই পারতাম না মানুষের সেবা করার মধ্যে এত সুখ পাওয়া যায়। লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের মাধ্যমে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে শুধূমাত্র চোখের চিকিৎসায় যে সেবা দেওয়া হচ্ছে তা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়। লায়ন্স চক্ষু ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে এ সেবার পরিধি আরও বাড়বে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন এস এম আশরাফুল আলম আরজু, কেবিনেট ট্রেজারার লায়ন আবু বক্কর সিদ্দিকী, জিএটি লায়ন ওসমান গণি, জিএমটি লায়ন হাসান মাহমুদ, জোন চেয়ারপার্সন লায়ন নিশাত ইমরান।
ক্লাব সেক্রেটারি লায়ন শাহতাব উদ্দিন রিকোর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গাইডিং লায়ন ডা. আবদুল্লাহ আল হারুন, চার্টার প্রেসিডেন্ট লায়ন রোসাঙ্গীর বাচ্চু, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লায়ন মনির আহমেদ চৌধুরী, গভর্নরস অ্যাডভাইজার লায়ন মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, প্রোগাম কমিটির চিফ অ্যাডভাইজার লায়ন মোহাম্মদ ইলিয়াস, কো-অর্ডিনেটর লায়ন মনজুরুল আহসান চৌধুরী, লায়ন হুমায়ুন কবির কাঞ্চন, রিজিয়ন চেয়ারম্যান হেড কোয়ার্টার লায়ন মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, লিও ক্লাব অ্যাডভাইজার লায়ন নুরুল আরশাদ চৌধুরী, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লায়ন আবদুল হামিদ চৌধুরী, জোন চেয়ারপার্সন লায়ন আসিফ উদ্দিন ভুঁইয়া, সদ্যপ্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লায়ন আবদুল মতিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন ডা. সাদিক হোসাইন, লায়ন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, লায়ন শাহনেওয়াজ আহমেদ, লায়ন জামাল হোসেন, লায়ন জাহেদুল আলম সাকিব, লায়ন মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, লায়ন মিজানুল করিম, লায়ন এরফান উল্লাহ ভুঁইয়া, লায়ন আবু রায়হান, লায়ন এ.এম. মঈনুদ্দিন চৌধুরী, লায়ন মাহবুবুর রহমান মোহন, লায়ন আবু হানিফ লিটন, লায়ন মোহাম্মদ রাসেল, লায়ন কামরুল হাসান প্রমুখ।