image

চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যের হৃৎপিন্ড : বাণিজ্য মন্ত্রী

image

বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, অনেক পীর, আউলীয়াদের স্পর্শের পূর্ণ ভূমি এ চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের বন্দর দিয়ে ইবনে বতুতাসহ অসংখ্য নেত্রীবৃন্দ এই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই এসেছেন। অনেক অলি আউলিয়া এখনে সে ধর্ম প্রচার করে গেছেন। চট্টগ্রামকে ক্রমবর্ধমান আমদানি রপ্তানির কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত করতে হবে। ইতোমধ্যে কর্ণফুলী টানেল, বে-টার্মিনাল, মহেশখালী মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেললাইন সবকিছুই আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা লক্ষেই তৈরী করা হচ্ছে।  

মঙ্গলবার (৩১ মে) দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে নগরীরর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে ২৯ তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা ২০২২ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ৫১ বিলিয়ন ডলারের একটা টার্গেট করেছিলাম। আমাদের সৌভাগ্য সেই ৫১ বিলিয়ন ডলারের জায়গায় ৬০ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট করতে পারবো। আর মাত্র দুই বছর পরে ২০২৪ সালে আমাদের এই টার্গেট ৮০ বিলিয়ন ডলার ঠিক করেছি। 

মন্ত্রী বলেন, কিভাবে ঘুরে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ, আর বেশি দূরে নয় ২০২৬ সালে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হবো। আন্তর্জাতিক ভাবে যে স্বীকৃতি আসছে সেটা তো বাস্তবতার নিরীক্ষে আসছে। এসব স্বীকৃতি এমনি এমনি তো আসছে না। আজকে থেকে চার বছর আগে আমি দিল্লীতে একটা কনফান্সে গিয়েছিলাম, সেখানে বেশ কয়েকটা দেশের পার্লামেন্ট মেম্বাররা এসেছিল। আমার পাশে পাকিস্তান থেকে আগত পার্লামেন্ট মেম্বার বসেছিলেন। তিনি আমাকে বললেন তোমাদের প্রধানমন্ত্রীর হাতে কি যাদুর চেরাগ আছে ? কেমন করে ঘুরে দাড়ালো বাংলাদেশ, কেমন করে এতো এগিয়ে গেলো? একথা শুনে আমার মনে খুশি লাগছিলো এজন্য যে, প্রধানমন্ত্রী কথা বলছিলো আর সে পাকিস্তানী বলে। কারণ যে পাকিস্তানীদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি। একাত্তর সালে তাদের অর্থনীতি বাংলাদেশের চেয়ে ৭০ ভাগ এগিয়ে ছিল। এই মূহুর্তে আমরা ৪০ ভাগ এগিয়ে আছি। আমাদের আজকের অর্থনীতি পাকিস্তানের কাছে বিষ্ময়! পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী একটা প্রেস কনফারেন্সে বলছিলেন পাকিস্তানের আর্থনীতি সুইডেনের মতন করতে চান। তখন সে দেশের একজন অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, সুইডেনের মতন নয়, বাংলাদেশের মতন করতে পারলেই হবে। এ আর্জন প্রধানমন্ত্রীর নিরলস পরিশ্রমের ফসল।

মাসব্যাপী এ মেলার ব্যপ্তি প্রায় ৪ লাখ বর্গফুট। মেলায় ১৭ টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৩৬ টি প্রিমিয়ার স্টল, ৯৯ টি গোল্ড স্টল, ৪৮ টি মেগাস্ট, ১৪ টি ফুড স্টল, ২টি আলাদা লোন  নিয়ে ৩৭০টি স্টলে ৩১০ এর বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। সর্বসাধারণ যাতে ব্যাপকহারে এ মেলা পরিদর্শন করতে পারে, সে লক্ষ্যে দর্শনার্থীর টিকিটের মূল্য গতবারের মতো ১৫ টাকা রাখা হয়েছে। এবারের মেলায় নিজস্ব পণ্য নিয়ে ভারত, থাইল্যান্ড ও ইরান বিভিন্ন স্টলের মাধ্যমে তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। স্কুলের প্লে-গ্রæপ থেকে ৭ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদেও জন্য বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাসব্যাপী এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০.০০টা থেকে রাত ১০.০০টা পর্যন্ত চলবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধ মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ, পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, আকতার হোসেন প্রমূখ বক্তৃতা করেন।