image

লোহাগাড়ায় কৃষি জমিতে গড়ে উঠছে ইটভাটা

image

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠছে একের পর এক ইটভাটা। -ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোঁড়ানো হচ্ছে পাহাড়ের মূল্যবান বনজ ও ঔষধি গাছ। এসব ভাঁটায় পাহাড়ের মাটি, ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি, কোন কোন ভাটা  ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে নির্মানের অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের নাফারটিলা বাজারের পূর্বে নোয়ারবিলা এলাকায় বনাঞ্চল ও লোকালয় ঘেঁষে কৃষি জমিতে গড়ে উঠছে নতুন ইটভাটা। জনৈক খোরশেদ আলম ও আবুল কালাম প্রকাশ বর্মা হাজিসহ কয়েকজন মিলে এ ইটভাটা গড়ে তুলছেন। 

সচেতন মহলের মতে, বনাঞ্চল ও লোকালয় ঘেঁষে এ ইটভাটা গড়ে উঠলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে। উজাড় হবে বনাঞ্চল ও লোকালয় হবে মানুষ বসবাসের অনুপযোগী। 

১৯৮৯ ও ২০০১ সালের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ১৭ নং অনুচ্ছেদের ৪ ও ৫ ধারায় উল্লেখ রয়েছে,  আবাদি কৃষি জমিতে কোনো ইটভাটা তৈরি করা যাবে না।
কিন্তু প্রভাবশালীমহল আইন অমান্য করে প্রতি বছর চরম্বা  ইউনিয়নে কৃষি জমিতে নতুন ইটভাটা গড়ে তোলছে।

এ ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত ২২ টি ইট ভাটা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, 'রহস্যজনক কারণে বিনানুমতিতে ভাটাগুলো তৈরি শুরু হয়, তখন কোন বাধা দেয়া হয় না। ফলে চরম্বা ইউনিয়নে দিন দিন ইটভাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। '

নির্মিতব্য ইটভাটা মালিক খোরশেদ আলমের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে সবকিছু বলা সম্ভব নয় বলে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। 

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া ব্রীকফিল্ড মালিক সমিতির সভাপতি শাহাব উদ্দিন চৌধুরী জানান, চরম্বায় জনৈক খোরশেদ আলম ও আবুল কালাম প্রকাশ বর্মা হাজিসহ কয়েকজন মিলে সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা  না করে ইটভাটা গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি অবগত নন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীম হোসেন জানান, 'কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করতে গেলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসারের ছাড়পত্র নেয়ার বিধান রয়েছে। তবে গতো দেড় বছরে এ উপজেলায় কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপনের জন্য কোন ছাড়পত্র দেননি বলে জানান তিনি।' 

লোহাগাড়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুব আলম জানান, জনৈক খোরশেদ আলম ও আবুল কালাম প্রকাশ বর্মা হাজিসহ কয়েকজন মিলে নতুন ইটভাটা গড়ে তোলার ব্যাপারে কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। এছাড়ার উপজেলায় নতুন ইটভাটা গড়ে তোলার ব্যাপারে বিধি-নিষেধও রয়েছে। তিনি আরো জানান, শীঘ্রই ওই নতুন ইটভাটা যারা গড়ে তুলছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (চট্টগ্রাম অঞ্চল) মোঃ মকবুল হোসেন মুঠোফোনে দৈনিক ডেসটিনিকে জানান, 'শীঘ্রই খোঁজ-খবর নিয়ে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে