image

কুতুবদিয়ায় ঝড়ো হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

image

২৫ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) সকালে বয়ে যাওয়ায় কাল বৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় কুতুবদিয়া উপক‚লে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কালো মেঘে ঢাকা আকাশের উত্তর পশ্চিম থেকে বয়ে আসা কাল বৈশাখীর থাবায় মুহ‚র্তে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দ্বীপের শতাধীক কাচাঁ বাড়ি-ঘর ও গাছ-পালা। বাতাসে উড়ে গেছে বেশ কিছু ঘরের ছাউনি। ডুবে গেছে উপক‚লে নোঙরে থাকা ও উপক‚লের দিকে ফিরে আসা বেশ কয়েকটি মাছ ধরার নৌকা। তবে কেউ হতাহত হয়নি।এসময় বাসা-বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি লোকজন। স্কুল-কলেজেও যেতে পারেনি অনেক শিক্ষার্থী।

হালকা বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে দ্বীপ এলাকার প্রান্তিক লবণ চাষীদের শতাধীক একর লবণ মাঠের কয়েকশত মণ উৎপাদিত লবণ। যার আর্থিক ম‚ল্য কয়েক লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা চাষীদের।

উপজেলার উত্তর কৈয়ারবিল এলাকার মোঃ আলী,নুর কাদের,আবদু শুক্কুর ও নেজাম জানিয়েছেন, ২৫ ফেব্রুয়ারী সকালে আকশের বুকে কালো মেঘের ঘনঘটা দেখে উপক‚লের দিকে ফিরে আসছিল তাদের মাছ ধরার ট্রলারগুলো। কিন্তু গভীর সম‚দ্র থেকে উপক‚লে পৌঁছার আগেই কালবৈশাখীর কবলে পড়লে দ্বীপের পশ্চিমে জেগে উঠা চরে ধাক্কা লেগে ডুবে তাদের ট্রলারগুলো ডুবে যায়। ভাগ্য ভালো ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লারা চরে উঠে প্রাণ বাঁচাতে পেরেছে। এসময় ট্রলারে থাকা লক্ষাধিক টাকার মালামাল পানির স্রোতে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে তারা।

এব্যাপারে জানতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, উপক‚লে ফিরে আসার পথে ৭/৮টি ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত গভীর সম‚দ্রে মাছ ধরতে যাওয়া অন্যান্য ট্রলার ও জেলেদের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় জানিয়েছেন, এসময় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের খবর নিয়েছেন। তিনি আরো জানিয়েছে, সম‚দ্রে মাছ ধরার ট্রলারগুলোর ব্যাপারে এখনো কোন খবর জানা যায়নি।

কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কবির আহমদ বাদশা জানান, ডুবে যাওয়া মাছ ধরার ট্রলার গুলো সন্ধ্যায় উদ্ধার করে আনা হয়েছে।
এদিকে উপকূলের জেলে পরিবারগুলোতে এক ধরনে অজানা আতংক কাজ করছে বলে জানা গেছে।