টেকনাফে এক মাদরাসা শিক্ষক সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে ৷ সাবরাং দক্ষিন নয়াপাড়া এলাকায় মায়ের উপর অবাধ্য সন্তানের হামলার বাধা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে৷ আহত মাওঃ আবুল কাসেম সাবরাং বড় মাদরাসার শিক্ষক ৷
সুত্রে জানা যায়, ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজ নামীয় জমিতে তাদের মা খদিজা বড় ছেলে মাওঃ আবুল কাসেমকে নিয়ে ঘর নির্মাণ করতে গেলে হামলাকারীরা দাবীকৃত টাকা না পেলে বাড়ী নির্মাণ করতে দিবেনা বলে হুমকি দেয় ৷
এক পর্যায়ে মাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে হামলা করতে তেড়ে আসে৷ তখন সাথে থাকা মাওঃ আবুল কাসেমকে সামনে পেয়ে ইয়াবা ও মানব পাচারে জড়িত সন্ত্রাসী আবদুল হামিদের নেতৃত্বে তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে যায়।
পরে তাঁকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতলে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে, উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে। তারা সকলেই অলি আহমদের পুুত্র ৷
আহত মাওঃ আবুল কাসেমের মা খদিজা বলেন, হামলাকারী ও আহত সবই আমার আমার গর্ভজাত সন্তান ৷ কিন্তু আবদুল হামিদ ও আবদুর রহিম এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ইয়াবাসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ও অবাধ্য সন্তান৷ আমার নিজ দখলীয়ও নামীয় জমিতে ঘর নির্মান করতে গেলে আবদুল হামিদ ও আবদুর রহিম ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে৷ আমি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকে হামলা করতে আসলে, বড় পুত্র মাওঃ আবূল কাসেম বাধা দেয় ৷ এসময় তাকে দা, লোহার রড দিয়ে কুপিয়েও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ৷
মাওঃ আবুল কাসেম জানান, সাবেক শিবির নেতা আবদুল হামিদ উশৃংখল ও মাস্তান টাইপের ৷ তার বিরোদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে ৷ হামলা কারীরা ইয়াবা ও মানব পাচার কাজে জড়িত ৷ আমি তাদের উচিত বিচার চাই ৷
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক এবং মানব পাচারের সাথে জড়িত।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক জানায় আহত ব্যক্তির মাতা, হাত, পা ও বুকে গুরুতর আঘাত রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রেফার করা হয়েছে৷
টেকনাফ মড়েল থানার ডিউটি অফিসার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, এব্যপারে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি ৷ অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা করা হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited