image

চট্টগ্রামের ভিআইপি সড়ক এখন খাল, মাছ ধরতে লাগবে জাল !!!

image

চট্টগ্রাম নগরীর অত্যন্ত ব্যস্ততম পতেঙ্গা-ইপিজেড তথা এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক, যেটাকে ভিআইপি সড়কও বলা হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে আসা যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি চট্টগ্রামের একমাত্র ভিআইপি সড়ক হিসেবেও পরিগণিত করা হয়। 

সিইপিজেড-কেইপিজেড এ সড়কের পাশে হওয়াতে প্রতিদিন লক্ষাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিক, যাত্রী সাধারণের চলাচলের একমাত্র পথ এম.এ আজিজ সড়ক/বিমানবন্দর ভিআইপি সড়কটি ব্যবহার হয়।   চলমান ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের জন্য ৩০ফুটের সড়ক এখন ১০ফুটে পরিণত। 

১০ফুট সড়কে আবার ভাসমান হকার, সবজির দোকান, টং দোকান কিংবা দলীয় নেতার আর্শিবাদপুষ্টরা নিত্য পণ্যের দোকান বসিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে প্রতিনিয়ত। এগুলোর প্রতিবাদ করলেই চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের হাতে হেনস্তা হওয়ার ভয়ে গা সওয়াভাবে মেনে নিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। 

প্রধান সড়কের অধিকাংশ স্থান ৩৯ ও ৪০নং ওয়ার্ড (সিমেন্ট ক্রসিং-কাটগড় বাজার) পর্যন্ত সিডিএর উন্নয়ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সেই কাজের জন্য সড়কের মাঝের দুই পাশ প্রায় ৩০ফুট টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা আছে। বাকী যেটুকু ১০ফুট সড়ক উন্মুক্ত, খানা-খন্দ ও গর্তের কারণে কোন ধরণের যানবাহন চলাচলই স্বাভাবিক নয়। ফলে সড়কে জমে থাকা পানিতে অনেক জাল দিয়ে মাছ ধরার উদাহরণ দিয়েও কটুক্তি করছেন নিয়মিত। সড়কটি এক প্রকার মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে বলে নগরবাসীর দাবী।

এ কথিত ভিআইপি সড়কে সৃষ্ট গর্তগুলো জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা না হলে দক্ষিন হালিশহর-পতেঙ্গাবাসীর জন্য সড়কই ভয়ে আনবে অনাকাংখিত বিপদ। ইট, মাটি, বালি ও সিমেন্ট-কংকর গুড়া বাতাসে উড়ে এলাকার পরিবেশ দূষণকে মানুষ উন্নয়নের স্বার্থে নিরবে মেনে নিলেও অচল সড়কের ঝক্কি-ঝামেলা নগর জীবনকে একপ্রকার বিষিয়ে তুলেছে বলেই অভিমত সকল-শ্রেণি পেশার মানুষের।  

এ প্রসঙ্গে উভয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলেন, এগুলো সিডিএ এবং সওজের উন্নয়ন কাজের কারণে সৃষ্ট দূর্ভোগ বলে তাদের অভিমত।উন্নয়ন কর্মকান্ড শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ কষ্ট সইতে হবে বলে তাদের অভিমত।