image

বাঁশখালীর কাঁচাবাজারে পণ্যের চড়া দাম : ক্রেতাদের দুর্ভোগ

image

লাউ, কাঁকরোল, বরবটি, বেগুন, ঢেঁড়শ, টমেটো, শশা, কাঁচা মরিচ থেকে শুরু করে বাজারে সব সবজির দাম চড়া। চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার টাইমবাজার, চাম্বল বাজার, জালিয়াখালী নতুন বাজার, মিয়ার বাজার, বৈলছড়ি বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, গেল সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে বাঁশখালী উপজেলায় তলিয়ে গেছে অনেক ফসলি জমি। এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে চাষি ও ব্যবসায়ীদের। যা পুষিয়ে নিতেই চড়া পাইকারির বাজার। ফলে সাধারাণ ক্রেতারা আগের চেয়ে দ্বিগুন মুল্যে কাঁচা সবজি ক্রয় করতে গিয়ে রিতীমতো হিমশিম খাচ্ছে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিমের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। পাইকারি দাম কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৯০ টাকা। গোল বেগুন কেজি প্রতি ৬০ টাকা ও লম্বা বেগুন ৭০ টাকা; পাইকারি দর যথাক্রমে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। ঢেঁড়শ কেজি প্রতি ৭০, পাইকারি দর ৬৫ টাকা। কাঁকরোলও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। গাঁজর কেজিতে ১শ’ টাকা; পাইকারি ৮৫ থেকে ৯০টাকা, শশা ৫০ থেকে ৬০ টাকা; পাইকারি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়; পাইকারি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে এর দাম পড়ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। কাঁচকলাও বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা হালি, পাইকারি বাজারে যার দাম পড়ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। মূলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি, পাইকারি দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা।

শুধু সবজিই নয়, শাকের বাজারও চড়া। পুঁই শাক আঁটিতে ৩০ টাকা, পাট ২০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, লাল শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কঁচু পাতা ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে কাঁচা মরিচের ঝাঁচের চেয়ে দামও বেশী। কাঁচা মরিচের দাম কমছে না কিছুতেই। দেশী মরিচ কেজি প্রতি ২শ’ আর ভারতীয় মরিচ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দেশি মরিচ ১৮০ টাকা আর ভারতীয় মরিচ ১৬০ থেকে ১৭০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টাইম বাজারের সবজি বিক্রেতা নুরুল কবির, আহমদ হোসেনের সাথে কথা বললে তারা জানান, টানাবৃষ্টির এক সপ্তাহ থেকে সব শাক সবজির দাম বেশি। কয়েক সপ্তাহ আগে দাম কম ছিল। কিন্তু যে বৃষ্টিটা হলো, তাতে ব্যাবসায়ীরা ব্যাপক লোকসান হয়েছে। তাই এখন সেটা পুষিয়ে নিচ্ছে তারা। পাইকারি  বাজারেই পাইকারি দর বেশি। আমাদের তেমন লাভ থাকে না।

জালিয়াখালী নতুন বাজারের খুচরা বিক্রেতা নুরুল আলম বলেন, চাষিরা বৃষ্টিতে গেল সপ্তাহে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানিতে ফসলাধীন জমি তলিয়ে যাওয়াতে  পঁচে যায় নানা সবজি।আমরাও ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি। এখন দাম বেশি চলতেছে। বৃষ্টির আগে দাম কমই ছিল।

বাঁশখালী উপজেলা কৃষি অফিসার আবু ছালেহ এই প্রতিবেদককে জানান, উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ১শত ৯২ হেক্টর ফসলাধীন জমি টানাবৃষ্টিতে তলিয়ে যায়। এতে বিভিন্ন আইটেমের সবজি পঁচে যাওয়াতে কাঁচাবাজারে সবজির সংকট দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলের কিছু কিছু সবজি বাজারে আসছে, যা চাহিদার তুলানায় কম হওয়াতে দামও বেড়েছে দ্বিগুন। তবে, অল্প সময়ের ব্যবধানে আবার কাঁচাবাজারে সবজির সয়লাব হলেই মূল্যও কমে যাবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।