image

চট্টগ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে চলে মাদক বিক্রি : প্রশাসন নির্বিকার

image

চট্টগ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবাসহ নানা প্রকার মাদক বিক্রি চললেও প্রশাসনের কোন নজরদারী কিংবা ব্যবস্থা চোখে পড়েনি নগরবাসীর। খোদ মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিপরীতে জেলা পরিষদরে কোল ঘেঁষে দিনের বেলায় ফুটপাতে চলে এ গাঁজা বিক্রির আসর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর জেলা পরিষদের পাশ ঘেষে উত্তরে লালদীঘি দিকে যেতে ফুটপাতে পান-সিগারেট বিক্রি, ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা ও ভিক্ষাবৃত্তির আড়ালে চলছে গাঁজা ও হিরোইন বিক্রির রমরমা বাণিজ্য। দেখলে বুঝার উপায় নেই এখানে এ অবৈধ ব্যবসার বাজার গড়ে উঠেছে। তবে, আশঙ্কার কথা, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিপরীতে, কোতোয়ালী থানার কয়েক গজ দূরে, জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে দিনে দুপুরে এ গাঁজা ও হিরোইন বিক্রি কিভাবে চলছে দিনের পর দিন তা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে সচেতন মহলে।

অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে, পান সিগারেট ও নানাবিধ পন্য বিক্রির পসরা সাজিযে একদল নারী-পুরষ, বয়স্ক ভিক্ষুক সামনে বাচ্চা নিয়ে বসে আছে ফুটপাতে। অন্তরালে তাদের কাছে মিলবে গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবাসহ নানা রকমের মাদক। খুব সুকৌশলে তারা এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে দিনের পর দিন। পথচারী কিংবা কারো অনুসন্ধানী চোখ গেলেই তারা মুহুর্তে সতর্ক হয়ে যান। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে লেনদেন হচ্ছে এ জীবন নাশকারী মাদকের।

প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনের বেলা মাদক বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ওসি মহসিন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পাইনি তবে এখন সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে জানলাম। এসব মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে। শীঘ্রই এ অভিযান পরিচালনা করে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ এমদাদুল ইসলাম মিঠুন বলেন, এর আগেও আমরা বেশ কয়েকবার এখানে অভিযান চালিয়েছি। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর তারা আবারো এ কর্মে লিপ্ত হয়।

তিনি বলেন, আমরা এখানে সমূলে উৎপাটনে দ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ নিব অচিরেই।