image

উখিয়া কোটবাজারের ভালুকিয়া সড়কের কাজ চলছে জোড়া-তালি দিয়ে 

image

জোড়া-তালি দিয়ে চলছে উখিয়ার কোটবাজার ভালুকিয়া সড়কের সংস্কার কাজ। এবারসহ পরপর দুইবার ৪ আগষ্ট আধা ভাঙ্গা ইটের টুকরো দিয়ে বড় বড় খানাখন্দ ভরাটের উদ্যোগ নিয়েছে রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী।

দীর্ঘ ৫ বৎসরের অধিক সময় ধরে স্থায়ী কোন সংস্কার হয়নি গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর জমে যায় হাটু সম-পরিমাণ পানি। অসংখ্য খানাখন্দের কারণে যাত্রী সাধারণের দূর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিদিন কোন না কোন দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

ভূক্তভোগীদের একজন কলিম উল্লাহ বলেন, ভালুকিয়া সী-বীচ সড়কটি উখিয়া উপজেলার কোটবাজার স্টেশন থেকে রত্নাপালং উপর দিয়ে গেলেও হলদিয়াপালং, রাজাপালং, জালিয়াপালংসহ ৪ ইউনিয়নের একাধিক সড়কের সাথে সংযোগ রয়েছে। প্র্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। এছাড়াও কক্সবাজার-টেকনাফ প্রধানসড়কে কোথাও যানজট বা সমস্যার সৃষ্টি হলে এই বিকল্প সড়ক হিসেবেও ব্যবহার হয় এই সড়ক।

কয়েকজন সিএনজি চালক বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাই গত ৪/৫ বছর ধরে কষ্টে আছি। এছাড়াও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এ ধরণের সমস্যা লেগে থাকে বলেও জানান। পাশাপাশি নরম ভাঙ্গা ইট কতগুলো দেওয়ার কারণে সমস্যা আরো বেড়ে যায়। এসব ভাঙ্গা ইট বসানোর কারণে গাড়ীর চাকার যেমন ক্ষতি হবে, তেমনি যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

পথচারী বিজন বড়ুয়া বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় সরকার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজ কি ? অতীব গুরুত্বপূর্ণ হলেও ভালুকিয়া সড়কটির বেহাল দশা কারো চোখে পড়ছে না কেন ? তালি-জোড়া দিয়ে আর কত ? এদিকে খানা খন্দে ভরা সড়কে ইটের ভাঙ্গা টুকরো দিয়ে কি হবে, চাই স্থায়ী সংস্কার উন্নয়ন।

এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো: রবিউল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রত্নাপালং ইউয়িন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন, গত ঈদের আগেও জন দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে নিজের ব্রীক ফিল্ড থেকে ইট নিয়ে কিছুটা হলেও কষ্ট লাগবে চেষ্টা করেছি। এবারও ঈদকে সামনে রেখে জনসাধারণের দুর্ভোগ নিরসনে নিজস্ব অর্থায়নে খানাখন্দ ভরাট করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভালুকিয়া সড়কটি মূলত: স্থানীয় সরকারের আওতাধীন। যা কোটবাজার থেকে ১ হাজার ফুট আরসিসি ঢালাই সহ ১৮ ফুট প্রশস্থ হয়ে মরিচ্যা এবং উখিয়া পর্যন্ত কার্পেটিংয়ের টেন্ডার ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।