image

আমন বপনে মগ্ন আনোয়ারার কৃষকরা

image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় রোপা আমন ধান চাষে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। জমি তৈরি ও ধানের চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। বোরো মৌসুমে ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চাষিদের মধ্যে হতাশা থাকলেও আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। বোরো ধানের ক্ষতি আমনে পুষিয়ে নেওয়ার আশা কৃষকদের। কিন্তু সার, বীজ, কীটনাশকের দাম বৃদ্ধিতে তারা হতাশও বটে। 

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার রায়পুর, বারশত, বৈরাগ, বরুমচড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা বীজতলা থেকে চারা নিয়ে আমন রোপণের কাজ সেরে নিচ্ছেন। এসব এলাকার অধিকাংশ জমিতে চারা রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট জমিতে চারা রোপণ শেষ হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। 

বরুমচড়া এলাকার কৃষক শফিক জানান, ৫০ শতক জমির মধ্যে ৩০ শতকে চারা রোপণ শেষ করেছি। বোরো মৌসুমে ধানের দাম অনেক কম ছিল। তাই খরচ উঠে আসেনি। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমনে বাম্পার ফলনের আশা করছি। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ছয় হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষিবিদরা। অধিক ফলনের আশায় এ উপজেলার কৃষকরা এবার স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে উচ্চ ফলনশীল ধানের চারা রোপণ করছেন। এসব জাতের মধ্যে রয়েছে ৪২, ৪৯, ৫২, ৭১, ৮৬, ৭৬, ৭০, ৮০ ও ৮৭ জাতের ধান।

তবে প্রাকৃতিক ভাবে বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন মতো বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কৃষক আমন চাষ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন। সাম্প্রতিক সময়ে টানা ভারী বর্ষণে কৃষি জমি চাষাবাদের উপযোগী হয়েছে। কিন্তু খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে এ উপজেলায় এবার আউশ চাষাবাদ তেমন হয়নি। শুধুমাত্র এক হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়। অথচ বিগত বছর গুলোতে এ উপজেলায় আউশ চাষাবাদ হয়েছে ৩-৪ হাজার হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, আনোয়ারায় নতুন জাতের বিনা ধান-৭০, ৮০, ৭১, ৭৬, ৫২ ও ৪৯ ধান কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে। উপজেলায় সার, বীজের কোনো সঙ্কট নেই।