image

হাসপাতাল উদ্বোধন হতে না হতেই ঔষুধ বিক্রয়কর্মীর উৎপাত

image

হাসপাতাল উদ্বোধন হতে না হতেই চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে রোগী ও তার স্বজনরা ঔষুধ বিক্রয়কর্মী কর্তৃক চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র টানাটানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগীরা।

রোববার ১০ই নভেম্বর বিশাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে উদ্বোধন হয় দিশারী চক্ষু হাসপাতাল। প্রথম দিন ফ্রিতে প্রায় ৫০জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ সময় দেখে যায়, রোগীর পাশাপাশি  অনেক ঔষধ কোম্পানির মানুষের আনাগোনা।

দিন দিন দেশে ঔষধ কোম্পানী ব্যাপকহারে বাড়ছে। কোম্পানীর মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভরা ডাক্তারদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসক ঔষধ কোম্পানীর কোন কোন প্রোডাক্টস লিখেছে তা তাদের প্রতিনিধিরা ছবি তুলে কোম্পানীর কাছে প্রদর্শন করে। কোম্পানীর সাথে সংশ্লিষ্ট এম.আর‘দের এতে করে তাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি ও প্রমোশন হয়। এম.আর‘দের কে ডাক্তারখানায় দেখলে রোগীদের অনেকের ধারণা হয়, ডাক্তার হয়তো প্রেসক্রিপশনে নিম্নমানের ঔষধ লিখছে। আবার বেশকিছু ডাক্তার চেম্বারে এম আর‘দের প্রবেশকে নিষিদ্ধ করা হয়। বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে অহেতুকভাবে এম আর‘দের প্রবেশকে নিষেধ করেও কাজ হয়না। চক্ষু লজ্জার কারণে অনেকে বিষয়টিকে এড়িয়ে চলে।

উদ্বোধনের পর পর  রোগীর চিকিৎসাপত্রে ছবি তোলার দৃশ্যটা দৃষ্টিকটু ঠেকেছে রোগী ও তার স্বজনদের। রোগীদের অনেকে এ পরিস্থিতির কবলে পড়ে বিব্রত হতে দেখেছি। ডাক্তার চেম্বারে যেখানে রোগীদের ভীড় থাকার কথা সেখানে সুষ্ঠু সবল এক শ্রেনীর মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের দল রোগীদের বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে তাদের কোম্পানীর পন্যের প্রচার এবং রিপ্রেজেন্ট কাজে হামাগুড়িতে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দেশের নামকরা ঔষধ কোম্পানীসহ বেশ কিছু কোম্পানীর প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলা নিয়ে নানা তর্কাতর্কি হয়। বিব্রতকর এই পরিস্থিতি থেকে অনেকে আজ মুক্তি চায়। উচ্চ ডিগ্রীধারী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ এম.আর’দের ছবি উঠানো ও তাদের প্রচলিত প্রথা-পদ্ধতিকে কোন কিছুতেই সমর্থন করেনা।

উদ্বোধন হওয়া ঐ হাসপাতালের এক পরিচালক বলেন, আসলে ছবি তোলার এই পদ্ধতি বন্ধ হওয়া দরকার বলে তারা মন্তব্য করেন। পক্ষান্তরে এই পদ্ধতি চিকিৎসকদের রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বাধীন মতামতকে প্রভাবিত করতে পারে। দ্রুতই মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের, ডাক্তার প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলা বন্ধ করা হোক। এমআরদের হামাগুড়ি ও রোগীদের ভোগান্তি দূরীকরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।