image

জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মশালা

image

জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের এক কর্মশালা চট্টগ্রাম মেট্রপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। 

একটি ইনক্লুসিভ, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি, গঠনতন্ত্র, ইশতেহার কেমন হওয়া উচিত এর উপর কর্মশালায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের সংগঠকগণ অংশ নেন।

সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জন আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মজিবুর রহমান মন্জু ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট তাজুল ইসলাম।

এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মেজর (অব.) ডা. আব্দুল ওহাব মিনার, ব্যরিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জননেতা মোস্তফা নূর, প্রকৌশলী মো: লোকমান, যুবনেতা সিদ্দিকুর রহমান প্রমূখ। 

সভায় আলোচ্য বিষয়ে মত প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- এডভোকেট আবুল কাশেম, ব্যাংকার দিদারুল আলম সাজ্জাদ, প্রকৌশলী নাঈম হাসান, তরুণ সমাজ চিন্তক মাসুদ জাকারিয়া, শ্রমিক নেতা হারুনুর রশীদ, যুব নেতা আব্দুল রহমান মনির, সাংবাদিক জিয়া চৌধুরী, রিমন বড়ুয়া, তরুণ ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম বাবুল, নারী উন্নয়ন কর্মী উজমা বুশরা, যুব উন্নয়ন কর্মী আইনুল হক রিপন,  উপজাতি প্রতিনিধি মি শা চিং মারমা প্রমূখ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন কালে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন- এ দেশের সবচাইতে বড় সমস্যা নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনার। সংবিধান নাগরিকের যে অধিকার আমাদের দিয়েছে তার সবই আমরা ভুলতে বসেছি। আমাদের যে অধিকার এমনিতে ভোগ করার কথা, দূ:খজনকভাবে তা আমাদের কে ঘুষ দিয়ে কিংবা মামা চাচার তদবীর দিয়ে অর্জন করতে হয়। এটা আমাদের স্বাধীনতার চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তিনি বলেন, সাম্য মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফ এই তিন মূলনীতির ভিত্তিতে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল যা আমরা ভুলতে বসেছিলাম। এই প্রজন্ম কে নতুন করে সে অঙ্গীকারে উদ্বুদ্ধ করতে জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ কাজ করবে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মন্জু বলেন- জন আকাঙ্ক্ষা একটি নতুন ধারার রাজনীতির উত্থান ঘটাতে চায়, যার নাম সার্বজনীন, আদর্শবাদী, গণতান্ত্রিক ধারা। এই ধারা জনগণের অধিকার কে দলের নীতি ও কর্মসূচি বানাবে। জনগণের আগ্রহ ও উপদেশ গ্রহণ করেই এই রাজনৈতিক ধারা তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। 

বিশেষ অতিথি এডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন- আমরা নতুন করে রাজনীতির পথ নির্মাণ করতে চাই কারণ আমরা আর বিষাক্ত অক্সিজেন গ্রহণ করতে অপারগ। যানজটে জন-জীবন অতিষ্ঠ তারপরও মন্ত্রীরা রাস্তা আটকে দিয়ে চলাচল করেন- তা আমরা আর মানতে রাজী নই। তিনি বলেন দূর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ব বলেই আমরা তৃণমূলের পরামর্শ নিয়ে কর্মসূচি প্রণয়ন করার কাজে হাত দিয়েছি। 
কর্মশালায় নতুন উদ্যোগের প্রস্তাবিত নাম, কর্মসূচি, গঠনতন্ত্র ও ইশতেহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও মতামত পর্যালোচনা করা হয়।