image

বাঁশখালীতে ঈদের দিনেও যুবক খুন, আহত ১০

image

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবক খুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১০জন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রত্নপুর গ্রামের তালুকদার পাড়া এলাকায়।

সোমবার (২৫ মে) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক মাওলানা মু. এরফান (৩৮) রত্নপুর বুদা গাজী তালুকদার বাড়ীর নুরুল ইসলামের পুত্র। সে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা এলাকায় মুদির ব্যবসা করতেন বলে জানা যায়।

স্থানীয় ও পারিবাররিক সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার স্থানীয় দুদু মিয়ার পুত্র মু. কালুর সাথে ৬ শতক জমি নিয়ে নিহত মা. এরফানের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ঈদের দিনই বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এক পক্ষ অপর পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপযার্য়ে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় মাও. মু এরফানকে গুরুতরভাবে ছুরিকাঘাত করায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতু বলে ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আহত অন্তত আরও ১০ জন। আহতরা হলেন, একই এলাকার মৃত ফজল আহমদ পুত্র জাফর আহমদ (৫৫) , মু এমরান (২৮), গিয়াস উদ্দীন (২৬), আশেক (২৫), আবু মুসা (৬০), মু. ইউনুস (৪৫)। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত আলী আহমদের পুত্র মুন্সি আলম (৫৫) ও মু. ইদ্রিস (৬০) কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক)কে প্রেরণ করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত এরফানের সাথে একই এলাকার মু. কালুর সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ ৬ শতক জমি নিয়ে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আজকে এলাকার একটি সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট চতুর্দিকে ঘিরে দেশীয় তৈর রাম দা, কিরিছ দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। সন্ত্রাসী মু. কালু ও মু. নুর উদ্দীনের নেতৃত্বে তারা পুনারায় হামলা গুলি চালায়।

বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ হীরক কুমার পাল জানান, রত্নপুর এলাকায় সংঘর্ষে আহত মাও. এরফান কে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরো ২জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের কে চট্টগ্রাম চমেকে হাসপাতালে প্রেরন করেছি। অন্যন্য আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, 'পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে হামলার ঘটনার সঠিত তদন্ত সাপেক্ষে অাইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা যায়।