image

সিনহার বাড়ি এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা

image

সোহেল মাহমুদ : ঘরোয়া আলোচনায় কত কিছু বলা যায়! কিন্তু, আলোচনা যখন প্রকাশ্যে হয়, তখন ভাইয়ের বাড়ি সিনহার হয় কেমনে? কৌতূহল।

২ লাখ ৮০ হাজার ডলার কি খুব বেশি কিছু? যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে বাড়ি কেনায় মিলিয়ন ডলার ব্যয় খুব সাধারণ ব্যাপার, সেখানে মি. সিনহার ভাইয়ের নামে কেনা এতো সাধারণ মানের একটা বাড়ি নিয়ে যে কি হৈচৈ! সিনহা তার ভাইকে এ অর্থ দিয়েছেন, এমন কোন প্রমাণ কি কোন সাংবাদিক পেয়েছেন? আমার জানার ইচ্ছে। যদি কোন প্রমাণ না থাকে, তাহলে এই বাড়ি মি. সিনহার বলি কি করে? তার ভাই এ বাড়ি কিভাবে কিনেছে, সে প্রশ্ন তুললেই কিন্তু প্রমাণ হচ্ছে না যে, বাড়িটি সিনহার।

বিচারপতি সিনহা দীর্ঘদিন আইনজীবী ছিলেন, ১৯৯৯ সালে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাবার আগপর্যন্ত। বিচারপতি ছিলেন প্রায় ১৮ বছর। রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচারবিভাগের প্রধান ছিলেন।

সিনহা দুর্নীতি করেছেন কি না, সেটা নিয়ে তর্কে যাচ্ছি না। আমার আগ্রহ তাকে দুর্নীতিবাজ প্রমাণের চেষ্টার ধরণ নিয়ে। সাংবাদিক হিসেবে পেশাদার হলে এই বাড়ির মালিকানা গল্প সিনহার কথিত দুর্নীতি প্রমাণে ব্যবহার করতে পারার কথা নয়। নিউ জার্সিতে বাড়িটা ঘুরে দেখে আমার মনে হয়েছে, একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির আবাস এতো সাধারণ হবার কোন যুক্তি নেই। দুর্নীতিবাজ হলেতো প্রশ্নই আসে না।

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম বিচারপতি সিনহা সে বাড়ির মালিক। কিন্তু, তার পদের ভার আর দুর্নীতি নিয়ে যা শোনা গেছে, তাতে সাংবাদিকদের আরো গভীরে যাওয়া দরকার ছিলো। আরো নিবিড় অনুসন্ধান আশা করা বেশি চাওয়া নয় মোটেও। আমার কাছে মনে হয়েছে, সংবাদমাধ্যমগুলোর দেশে বিদেশে অনুসন্ধানে ফরমায়েশ ছিলো বেশি। সাথে, দায়সারা ভাবও। অথচ, পেশাদারিত্ব ছিলো কম।

অনুমান কি তথ্য হবার যোগ্যতা রাখে?

লেখক : উপদেষ্টা সম্পাদক, সিটিজি সংবাদ.কম