image

জোয়ারের পানিতে ভাসছে আনোয়ারার বার আউলিয়া এলাকা

image

আনোয়ারায় বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় ৩ দিন ধরে পানিতে ভাসছে রায়পুর ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকা।

মঙ্গলবার(৭ জুন) দুপুরে বেড়িবাঁধের খোলা অংশ দিয়ে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে স্থানীয়দের বসতভিটা ডুবে যায়। এ সময় এলাকার  ৩ হাজারের অধিক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে দূর্ভোগের শিকার হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ যথা সময়ে বেড়িবাঁধের মাটির কাজ শেষ না করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছেন ,বর্ষার পরেই চলমান উন্নয়ন মাটির কাজ ও নতুন বরাদ্দে স্থায়ীভাবে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এসব এলাকার জন্য ৭টি প্যাকেজে ১ শত ৫০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ শত কোটি টাকা ব্যয়ে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজে অনিয়মের কারণে রায়পুর ইউনিয়নের বারআউলিয়া এলাকায় প্রায় দুইশ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে স্থানীয় বারআউলিয়া জামে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকীর মুখে পড়ে। বারআউলিয়া এলাকায় খোলা বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানি ওঠানামা করছে।

মঙ্গলবার দুপুরে জোয়ারের পানি বেড়ে গেলে বেড়িবাঁধের খোলা অংশ পানি প্রবেশ করে ৮ নং ওয়ার্ড বার আউলিয়া এলাকার বাইন্না পাড়া, কবির মিয়ার বাড়ি, ইসমাইল মিয়াজির বাড়ি, সর্দার পাড়া, হাজি কেরামত আলী বাড়ি ও মাওলানা আমির হামজার বাড়ির প্রায় ৩ হাজার লোক পানি বন্ধি হয়ে পড়ে। এ ছাড়া জোয়ারের পানিতে রায়পুর ইউনিয়নের পরুয়াপাড়া বাতিঘর, গহিরা, ফকির হাট ও সরেঙ্গার যেসব অংশে পাথর নেই এসব এলাকার বিভিন্ন অংশের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ঐ এলাকায় জিও ব্যাগ বসিয়ে  প্রোক্টেশন দেয়া না হলে যেকোন মুহুর্তে পুরো বাঁধ তলিয়ে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা শওকত হোসেন জানায়, তিন দিন ধরে জোয়ারের পানিতে ভাসছে পুরো গ্রাম। আমাদের বাড়ি ঘর ডুবে গিয়েছে, বাড়ির কারো পক্ষে রান্নাবান্না করা সম্ভব হয়নি।

রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম জানান, বারআউলিয়া এলাকার বেড়িবাঁধের খোলা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মানুষের ঘরবাড়ি, মসজিদ মাদ্রাসা, কবরস্থান ও দোকানপাট তলিয়ে যায়। এতে করে এলাকার অন্তত ৩ হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে দূর্ভোগে পড়ে। এসব এলাকায় জিও ব্যাগ না দিলে মানুষের দূর্ভোগ আরো বাড়বে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী চয়ন কুমার ত্রিপুরা জানান, আনোয়ারার বাতিঘর এলাকায় বেড়িবাঁধের ভাঙন অংশে যেখানে জিও ব্যাগ বসানো হচ্ছে কিন্তু রাতের আঁধারে কে বা কারা ঐ এলাকার জিও ব্যাগগুলো কেটে ফেলছে। এতে করে বেড়িবাঁধের ভাঙন রোধ সম্ভব হচ্ছেনা।

আনোয়ারার উপকূলের বেড়িবাঁধের যেসব অংশে পাথর বসানো হয়নি ঐ সব এলাকায় শীঘ্রই পাথর বসানো হবে। এর জন্য নতুন করে ৭টি প্যাকেজে ১শত ৫০ কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।