সময় তখন ৯টা । মা রান্না ঘরে ।আমি আর আমার বোন টেবিলে পড়াশুনা করছি। হঠাৎ পিছন রুম থেকে উচ্চ শব্দে কি পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনি। গিয়ে দেখি আমাদের ঘরের উত্তর পাশের আর পিছনের মাটির দেওয়াল ধসে পড়েছে। ধসে যাওয়া দেওয়ালের রুমের খাটে দাদু আর বোন রাতে ঘুমাতো। দিনে হওয়ার শেষ রক্ষা হলো দুজনের।
কথাগুলো বলছিল বড় ছেলে ইমন। ঘটনাস্থল রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিন রাজানগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সাদেকের পাড়া এলাকায়। ইমনের বাবা ইউনুচ একজন ক্ষুদে ব্যবসায়ী । ধামাইর হাট বাজারে সবজি ব্যবসা করে সংসার চলে ইমনের পরিবারের। পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ব্যক্তি তার বাবা।
ইমন সোনারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী । বোন কেয়া একই প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যায়ন করছে । আগামীকাল দুজনের সাপ্তাহিক মূল্যায়ন পরীক্ষা । সেই চিন্তায় ঘর ধসে দিশেহারা বোন কেয়া । পাশে বসে সান্তনা দিচ্ছে ছুটে আসা এক স্কুল বান্ধবি।
ইমনের বাবা মোঃ ইউনুচ বলেন, বাজারের দোকানে ছিলাম । ছেলের কল পেয়ে এসেছি । টানা পোড়নের সংসারে মাথা গোঁজার বসত ঘরটাও ভেঙে গেলো। তবে খোদার কাছে শুকরিয়া পরিবারের কারও কোনো ক্ষতি হয়নি । ঘরের আসবাবপত্রের মধ্যে খাট , আলমারি ও আলনা মিলিয়ে ৭০হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিবেশীরা।
স্থানীয় কয়েকজনের মতে, পুরাতন মাটির ঘর । সংস্কার করা হলেও বর্তমানে মাটির ঘরগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে । অবশিষ্ট অংশ ঙেগে নতুন ঘর নির্মাণ করতে হবে। নয়তো মারাত্মক দূর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে ।জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতার প্রয়োজন মনে করেন স্থানীয় জনসাধারণ ।
Developed By Muktodhara Technology Limited