image

ঢাকার সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত : ফ্রান্সকে বর্জনের আহবান

image

ফ্রান্সে হযরত মুহাম্মদ (স:) কে ব্যঙ্গ করে কার্টুন প্রকাশ করায় সারাবিশ্বের মুসলমানরা নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন। শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের এ আন্দোলনে নেই কোন সহিংসতা কিংবা হিংস্রতা। তারা কেবল নবীজিকে কটাক্ষকারীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন।

সোমবার (২ নভেম্বর) ঢাকার বায়তুল মোকারম মসজিদের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজত ইসলামী বাংলাদেশ। জনসমুদ্রে রূপ নেয়া এ সমাবেশ বায়তুল মোকারম ছাড়িয়ে আশেপাশের কয়েক মাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করে। চারিদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ। এমন উত্থাল জনসমুদ্র থেকে কেবল একটাই দাবি ধ্বনিত হয়েছে, “রাসুল্লাহর অপমান, সইবে না মুসলমান।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে ফ্রান্সের দূতাবাস বন্ধের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। একইসঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি জানানো হয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সব মুসলিম দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের কাছে দাবি জানাব, আপনারা ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন। ইমানি দাবি, আপনারা ফ্রান্সের যাবতীয় পণ্য বর্জন করুন।

ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনাদের ইমানি শক্তি থাকলে ফ্রান্সের পণ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফেলে দিন।

বিশ্ব মুসলিম দেশগুলো এবং বাংলাদেশ সরকারকে বলেন, যারা আল্লাহ রাসুল ও কুরআনের সঙ্গে বেয়াদবি করবে তাদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন পাস করুন।

ফ্রান্স সব মুসলমানের ইমানে আগুন জালিয়ে দিয়েছে। এ আগুন নেভানোর একমাত্র পথ ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি ক্ষমা না চান, তাহলে এ আগুনে পুড়ে ফ্রান্স ছারখার হয়ে যাবে।

বক্তারা অবিলম্বে বাংলাদেশের ফ্রান্স দূতাবাস বন্ধ করে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাসের আহ্বান জানান।

সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মিছিলে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।

দুপুর পৌনে ১টায় মিছিলটি শান্তিনগর পৌঁছালে পুলিশ আটকে দেয়। পরে সেখানে মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- হেফাজত নেতা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মামুনূল হক, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা হাসান জামিল প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে ঢাকায় মুর্তি বানানোর প্রতিবাদে ১৩ নভেম্বর বাদ জুমা বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।