image

বাঁশখালীর পুঁইছড়িতে ব্রিজের সংযোগ বিচ্ছিন্ন: কাঁচাপাকা সড়কে অচল জনপদ

image

বাঁশখালী উপজেলার ১১নম্বর পুঁইছড়ি ইউনিয়ন গ্রামিণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে পড়া একটি জনপদ। সরেজমিনে দেখা যায়, এখনো পুঁইছড়ির অধিকাংশ অভ্যন্তরিণ সড়ক কাঁচামাটির। পুইছড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ১০ হাজারের অধিকাংশ লোকজনের চলাচলের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম শামশিয়াঘোনা-বটতলিশিয়া সংলগ্ন ৩ কিলোমিটারের অর্ধপাকা ও কাঁচা সড়কটি জনদূর্ভোগের কারণ।

স্থানীয়রা জানায়, বিগত ২০০২ সালে ৩ কিলোমিটারের সড়কটির ১ কিলোমিটার পরিমান পাকা ইট বসলেও তাও এখন নড়বড়ে। ধূলাবালির কাঁচামাটির সড়কটিই এলাকাবাসীর দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া সড়ক দিয়ে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিত্যদিন। বাদশা সাওদাঘরের দোকান থেকে বটতলিশিয়া পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা।

দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালবার্ট নির্মাণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উদ্যোগে ২০১৮-১৯' অর্থ বছরে বটতলিশিয়া ঘোনা সংলগ্ন সড়কে একটি ব্রিজ নির্মিত হলেও স্থানীয় ভূমিদস্যুরা ব্রিজের গোড়া থেকে মাটি কেটে সড়ক থেকে ব্রিজকে আলাদা করে ফেলে। গ্রামীণ মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা কাঁচামাটির সড়কটি ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাচল। ৪ থেকে ৫শত বসতঘরের একমাত্র ভরসা কাঁচামাটির সড়কটির উন্নয়নে এলাকাবাসীদের অভিযোগের কথা শুনেনি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধারা এমনটি অভিযোগের তীর স্থানীয়দের।

স্থানীয় রোটারিয়ান মুবিনুল হক মুবিন প্রতিবেদককে বলেন, 'আমাদের পুঁইছড়ি ইউনিয়ন একটি অবহেলিত জনপদ। এখনো এখানকার অধিকাংশ গ্রামিণ সড়ক কাঁচামাটির। বর্ষায় কাদামাটিতে অতীব কষ্টে চলাচল করে এলাকার লোকজন। গ্রীষ্মে ধূলাবালির নরকযন্ত্রণা নিয়ে পাড়ি দেয় পথ। ৪ থেকে ৫শত বসতঘরের প্রায় ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শামশিয়াঘোনা-বটতলিশিয়া সংলগ্ন সড়কটি। সড়ক সংলগ্ন ব্রিজের গোড়া থেকে মাটি কেটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার সংস্কৃতি খুবই দুঃখজনক। অচিরেই জনদূর্ভোগ লাঘবে সড়কের সংস্কার করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নিকট আমার আকুল দাবী রইলো।'

স্থানীয় ইউপি সদস্য শেয়ার আলী প্রতিবেদককে বলেন- 'আমার পুঁইছড়ি এলাকাটি এখনো পিছিয়ে পড়া জনপদের কাতারে। আমার নির্বাচনী এলাকার এ সড়কটির বেহাল অবস্থা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের গাফেলতির কারণে এ সড়কটি এখনো সংস্কারের মুখ দেখেনি। এমনিতেই সড়কের বেহালদশা, তার উপর দিয়ে ভূমিদস্যুরা প্রতিনিয়ত পাহাড় কেটে মাটিবোঝাই ডেম্পার চলাচল করার কারণে ধূলাবালির রাজ্যে পরিণত করেছে সড়কটিকে। ভূমিদস্যুরা নবনির্মিত ব্রিজের গোড়া থেকে মাটি কেটে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করেছে আরো দূর্বিসহ। এলাকাবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় সাংসদের সুদৃষ্টি কামনা করছি'।