image

বোয়ালখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা

image

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ঝুঁকিপূর্ন ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা। এতে করে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা।

(৭ এপ্রিল ) বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, পোপাদিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনের প্রতিটি কক্ষে ফাটল ও সিলিংয়ের পলেস্তার খসে পড়ছে। দরজা-জানালাগুলো জরাজীর্ণ অবস্হায় ।

জানা যায়, বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া এলাকার জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পোপাদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। পরবর্তী সময় ২০০৪ সালে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রেটি সংস্কার করা হয়। বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহার অনুপোযোগী।

ভবনটিতে ৭টি কক্ষ থাকলেও ১টি কক্ষে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে । এ কেন্দ্রের চিকিৎসকসহ ৬টি পদ রয়েছে। এরমধ্যে চিকিৎসকের পদে নিযুক্ত  ডা. নাবিলা তাসনীম যোগদানের পর থেকেই প্রেষণে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে ১জন কমিউনিটি উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার ও ১জন আয়া দিয়ে চলছে কেন্দ্রেটির চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। বাকি তিনটি পদ এখনও শূণ্য রয়েছেন।

এ ব্যাপারে দায়িত্বরত কমিউনিটি উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার সঞ্জয় কুমার শিকদার বলেন,চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরাবর এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না আসায় আমাদের প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।এছাড়া পোপাদিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনের পাশাপাশি আবাসিক ভবনের অবস্থাও নাজুক। বর্ষা মৌসুমে আবাসিক ভবনটির ছাদ দিয়ে কক্ষে পানি প্রবেশ করে বলে জানান তিনি।

পোপাদিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আগত রোগীরা বলেন, আমাদের  নিকটতম এই  হাসপাতাল থেকে আমরা  চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকি। কিন্তু সেবা নিতে এসে ভয়ে থাকতে হয় ভবনটির ফাটল দেখে। আমাদের মনে হয় যেকোনো মূর্হুতে সিলিংয়ের পলেস্তার খসে পড়বে।

বোয়ালখালী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হোসেন আল মামুন বলেন, পোপাদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, বিষয়টি সর্ম্পকে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।