image

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসলো বিরল প্রজাতির মৃত তিমি 

image

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মেরিন মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন হিমছড়ি পয়েন্টে ভেসে এসেছে বিশালাকার বিরল প্রজাতির মৃত তিমি।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে মরা-পঁচা তিমিটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পূর্ণ ভাটায় সাগরের বালুতটে পড়ে থাকে মৃত তিমি। 
সাগরের পানিতে ভাসতে ভাসতে মৃত তিমিটির সামনের অংশ বিকৃত হয়ে গেছে।

খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থলে যান। 

তিমিটি ৭ দিন আগে মারা যেতে পারে ধারণা করেছেন প্রশাসনের লোকজন । মৃত তিমিটির বয়স ৭/৮ বছর বয়স হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয় জেলেদের।

কক্সবাজার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মৃত তিমিটি ৪৪ ফুট লম্বা ও ২৬ ফুট প্রস্থ এবং তিমিটির ওজন আড়াই টনের মতো হতে পারে। 

লকডাউনের কারণে সাগরে মাছধরার ট্রলার বন্ধ। তাই তিমিটি সহজেই তীরে ভেসে এসেছে বলে ধারণা করেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

অনেকে বলছেন, বাংলাদেশের জলসীমায় স্বভাবত এত বিশালাকার তিমির দেখা মেলে না। শান্ত সাগরে কিভাবে এটি তীরে ভিড়লো? বিশেষজ্ঞরাই আসল রহস্য বের করতে পারবেন।

এদিকে, সাগরে মৃত তিমি ভেসে আসার খবরে ছুটে গেছে স্থানীয় বাসিন্দা। এক নজর দেখতে ভিড় করে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে চলাচলকারী গাড়ির যাত্রী ও সাধারণ পথচারীরা।

মৃত তিমিটির দেহকে ঘিরে সবার মাঝে দেখা দিয়েছে কৌতুহল। অনেকে তিমির পাশে ঘেঁষে ছবি তুলছে। লাইভ করছে গণমাধ্যমকর্মীরা।

জোয়ারের পানি বাড়ার আগেই শরীরে রশি বেঁধে তিমিটি সরানো চেস্টা করছেন প্রশাসন। 

এদিকে, সাগর পাড়ে তিমি ভেসে আসার খবর পেয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। 
তারা মৃত তিমিটি দেখেন।

মৃত তিমি পরিদর্শন শেষে এডিসি মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি তিমি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে এটি সংরক্ষণ করা যাবে নাকি পুঁতে ফেলা হবে তা ঠিক করা হবে।

তিনি বলেন, সাগরে লক্ষ প্রজাতির প্রাণীর বিচরণ। মাঝেমধ্যে কিছু কিছু প্রাণী মারা যাওয়াটা স্বাভাবিক। তবুও কোন কারণে তিমিটি মারা গেছেন, তা নির্ণয়ের চেষ্টা করা হবে।

অনেক পরিবেশবাদীর ধারণা, গভীর সাগরে বিদেশী বড় জাহাজের ধাক্কা অথবা হত্যার কারণে তিমিটির মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বাংলাদেশের জলসীমার বাইরে তিমিটি মারা যেতে পারে।

প্রসংগত, ২০২০ সালের লকডাউনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জীবিত ডলফিনের দেখা মেলে। এবার আসলো মৃত তিমি।