image

রামু খুনিয়াপালংয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-৪

image

কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল ও শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের নিকট দাবী জানিয়েছেন এলাকার শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষ। 

স্থানীয় চেয়ারম্যানের পালিত বাহিনীর সদস্যরা একের পর এক সাধারণ মানুষের উপর, হামলা, অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
রবিবার ২ মে সকালে ফের ধোয়াপালং নয়াপাড়া এলাকায় ফরিদ আলমের স্ব পরিবারের উপর পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় নারীসহ ৪ জন আহত হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে খুনিয়াপালং ইউনিয়নে বড় ডেপা স্টেশন চত্বরে মুমিন ছৈয়দ সওদাগরে চায়ের দোকানের সামনে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদের নেতৃত্বে ২০/ ৫০ জনের সংঘবদ্ধ দুবৃত্তের হামলায় বয়োবৃদ্ধসহ ৪ জন আহত হন।

এঘটনায় আবদুল মাবুদ চেয়ারম্যানকে প্রধান আাসামী করে ১৮ জনের নাম উল্লেখপুর্বক অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল থানায় এজাহারটি দায়ের করেন আহত মোমেন ছৈয়দ সওদাগরের মেয়ে মিনুয়ারা বেগম।
জানা গেছে, রবিবার সকালে খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং নয়াপাড়া এলাকায় ফরিদ আলম বাজার থেকে বাড়ী ফিরছিল। পথিমধ্যে মাবুদের পালিত বাহিনীর লোকজন ওই ফরিদের উপর হামলা করে। খবর পেয়ে ফরিদের স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসলে স্ব পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে নারীসহ ৪জন গুরুতর আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় অদুরে পুলিশও উপস্থিত ছিল বলে আহতদের অভিযোগ। ওই সময় একটি ঘটনার তদন্তে এলাকায় গিয়েছিলেন রামু থানার একদক পুলিশ।

এদিকে, গত ২৮ এপ্রিল বুধবার রাত ৯টার দিকে হঠাৎ ২০/৫০ জনের একদল সংঘবদ্ধ দুবৃত্ত , লাঠি, লোহার রডসহ অস্ত্র সশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে খুনিয়াপালং বড় ডেপা স্টেশন চত্বরে মুমিন ছৈয়দ সওদাগরের চায়ের দোকানের সামনে উপস্থিত হন আবদুল মাবুদের নেতৃত্ব একদল দুবৃত্ত। এসময় কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই চায়ের দোকানের ভিতর থেকে মুমিন ছৈয়দ সওদাগরকে টেনে হিচড়ে বাহিরে এনে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এসময় মুমিন ছৈয়দ সওদাগরকে দুবৃত্তদের কবল থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে মারধর করা হয় শওকত আলী, নুর আহাং ও আবুল কাশিম ড্রাইভারকে।

আহতদের পরিবারের সদস্যরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন এই হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেন ও সরাসরি হামলায় অংশ নেন খুনিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ। 

স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

এঘটনায় আবদুল মাবুদ চেয়ারম্যানকে প্রধান আাসামী করে ১৮ জনের নাম উল্লেখপুর্বক অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল থানায় এজাহারটি দায়ের করেন আহত মোমেন ছৈয়দ সওদাগরের স্ত্রী মিনুয়ারা বেগম।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাবুদের পোষ্য অপরাধ বাহিনীর মাধ্যমে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ফরিদের স্ব পরিবারের উপর নির্মম ভাবে হামলা করা হয়েছে বলে দাবী আহত পরিবারের। 

আহত পরিবারের অভিযোগ করেন, এলাকার সাধারণ মানুষের উপর একেরপর এক হামলা চালিয়ে ইউনিয়নের শান্ত পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে আবদুল মাবুদ চেয়ারম্যান। গত নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে যাওয়া সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানী ও হামলার ঘটনা ঘটিয়ে প্রায় ৫ বছর অতিক্রম করেছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার জেরে প্রতিপক্ষ লোকজনজে টার্গেট করে সিরিজ হামলা চালানোর ঘটনায় পুরো ইউনিয়নের মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। দিনদিন উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে এলাকার পরিবেশ। আবদুল মাবুদ বাহিনীর হামলার ভয়ে অনেকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। হামলাসহ বিভিন্ন ভাবে অপরাধ কাজে কিছু ভাড়াটিয়া অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন হামলার শিকার পরিবারের লোকজন।

এব্যাপারে নির্যাতনের শিকার অসহায় পরিবারগুলো প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।