image

বাঁশখালীর শিলকুপ-গন্ডামারা সড়ক, যেখানে হার মানবে নরক !

image

বাঁশখালীর অভ্যন্তরিণ সড়ক টাইমবাজার হয়ে গন্ডামারা ইউনিয়নের উত্তর গন্ডামারা হোছাইন শাহ্ মাজার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটারের সড়কটির অবস্থা খুবই বেহাল। অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে শিলকুপ-গন্ডামারা দুই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষ জনসাধারণ। বিশেষ করে গন্ডামারা ইউনিয়নের ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ডের লোকজনের সাথে প্রধান সড়কের যোগাযোগের বিকল্প সড়কটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ওই সড়কটি ছাড়া বাঁশখালীর প্রধান সড়কের সাথে ওই দুই ইউনিয়নের জনসাধারণের যাতায়তের জন্য বিকল্প কোন সড়ক নেই। 

বাঁশখালী উপজেলা এলজিআরডি'র সূত্রমতে, সড়কটি ২০১২ সালে সংস্কার করা হয়েছিল। সম্প্রতি প্রায় ৬ কিলোমিটারের দীর্ঘ সড়কে খানাখন্দে রুপ নিয়েছে। গন্ডামারা কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত মালবাহী গাড়ী যাতায়তের ফলে দীর্ঘ সড়কে বড় বড় খানাখন্দে রুপ নিয়েছে। এমনিতেই সড়কের পার্শ্বদেশ ভেঙ্গে গিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে রুপ নিয়েছে। স্বাভাবিক হাঁটাচলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। সড়কের কার্পেট উঠে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্ট গর্তে পানি জমে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। বর্ষার আগেই সড়কটি সংস্কার করা না হলে কাদা-জলে একাকার হয়ে চরম দূর্বিসহ হয়ে পড়বে সাধারণ যানবাহন চলাচল ও যাত্রীদের জীবনমান।

বাঁশখালী প্রধান সড়ক সংযোগ শিলকূপ-গন্ডামারা সড়কে চলাচলরত সাধারণ যাত্রী ও যানবাহন চালকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, 'বাঁশখালী প্রধান সড়কের সাথে দুই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষ জনসাধারণের যোগাযোগ মাধ্যম এ সড়কটি। ইদানিং সড়কের কার্পেট উঠে যাওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রিকশার মতো ছোট যানবাহন চলাচল করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় সিএনজি-অটোরিক্সা সড়কে উল্টে গিয়ে মারাত্মক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীরা। এ সড়ক দিয়ে গন্ডামারা কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত বড় বড় মালবাহী গাড়ী চলাচলের কারণেই সড়কের নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের স্বাভাবিক চলাচল হয়ে পড়েছে দূর্বিসহ। সাধারণ রোগী ও ডেলিভারি রোগীদের যাতায়ত কোন কিছুতেই কল্পনা করা যায় না। বর্ষার আগেই তারা উধ্বর্তন কতৃপক্ষের নিকট শিগ্রই সড়কের সংস্কারের দাবী জানান।

সড়ক সংস্কারের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভূইয়ার সাথে  মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।