image

কুতুবদিয়ায় বোরো ধানের শীষে দুলছে কৃষকের হাসি : বাম্পার ফলনে চোখে মুখে সোনালী ঝিলিক

image

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায়। মাঠ জুড়ে সোনালী ধানের সমারোহ। ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। উপজেলার বিভিন্ন ফসলি মাঠে পাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকরা। এবার এ উপজেলায় বোরো ধানের বাস্পার ফলন হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। প্রতিবছরের চেয়ে পোকার আক্রমণ কম থাকায় অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই এবার নতুন ধান তোলার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর ১ হাজার ৬ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ধানের বাম্পার ফলন বোরো ধান চাষ করা হয়েছে।

জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তুলেছে কৃষকরা। এ ধান ঘরে তুলতে কৃষি বিভাগ নানা পদক্ষেপ  গ্রহণ করেছেন। দলীয় আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও নিয়মিতভাবে রোগ ও পোকার আক্রমণ সংক্রান্ত পূর্বাভাস জরিপ করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এসব কাজ ছাড়াও উপজেলায় ৬জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকের জমিতে ফসলের তদারকিসহ নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের ধান চাষি আরিফ উল্লাহ বাদশা জানান, এবার ৫ কানি জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানও খুব ভালই হয়েছে। প্রতিটি শীষ ক্ষেতে সোনার মত জ্বলছে। প্রতি কানিতে ১৫০ আরি ধান হবে। বাজারে ভাল দাম পেলে লাভবান হতে পারবো।

কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বর্গাচাষি মফিজ আলম জানান, প্রতিবেশীর নিকট ৩ কানি জমি বর্গা নিয়ে হাইব্রিড ধানের চাষ করছি। আমি প্রতি কানিতে ১৩০ আরি ধানের আশা করছি। ধানের বাজার ভাল পেলে বাকি দিনগুলি মোটামুটি ভালই চলে যাবে।

কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় (অঃদাঃ) জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পোকা মাকড়ের উপদ্রপ ছাড়াই কৃষক ধান ঘরে তুলতে পারবে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকের মাঝে গিয়ে নানা পরামর্শ দিচ্ছে। এবার ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে। বেশি ফলন পাওয়ায় কৃষক এখন হাইব্রিড ও উপসি জাতের ধানের আবাদ বেশি বেশি করছে। আশা করি, এসব ধানে এবারও বাম্পার ফলন হবে। বাজারে ধানের দাম ভাল পেলে কৃষকের স্বপ্ন পূরণ শতভাগ পূরণ হবে।