image

বোয়ালখালী স্বাস্হ‍্য কমপ্লেক্স: দীর্ঘ ৪ বছর পর হচ্ছে সিজারিয়ান অপারেশন

image

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্হ‍্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ৪বছর পর প্রসূতি মায়েদের সিজারিয়ান অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার (২৪মে) সকাল ১০ টায় এক প্রসূতির সফল অপারেশনের মাধ‍্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানায়,বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান ।

বোয়ালখাললী স্বাস্হ‍্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়,জুনিয়রকনসালটেন্ট(এনেসথেসিয়া)পদটি প্রায় ০৪ বছর ধরে শুন্য ছিল বিধায় সেবাটি বন্ধ ছিল ।পরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক(স্বাস্থ্য) ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবির ও সিভিল সার্জন ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বির আন্তরিক প্রচেষ্টায় জুনিয়রকনসালটেন্ট(এনেসথেসিয়া)পদটিতে ডাঃ তাসনুভা তানজিল নামের এক চিকিৎসকে নূতন করে পদায়িত করেছেন। তার সহযোগিতায় বোয়ালখালী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডাঃ স্মিতা মুহুরী এবং মেডিকেল অফিসার ডাঃ কান্তা অধিকারী সিজারিয়ান কার্যক্রম পরিচালনা করেন । এতে সহযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স তন্দ্রা দেওয়ানজী এবং ওটি এটেনডেন্ট মোঃ সালাউদ্দিন।

এই সময় উপস্থিত থেকে সিজারিয়ান কার্যক্রমটি মনিটরিং করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাজর্ষি নাগ, তারা জানিয়েছেন অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, মা ও শিশু দুই জনই সুস্থ আছেন। এখন থেকে কার্যক্রমটি নিয়মিতই চলবে বলে জানান তারা। বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান, অপারেশন থিয়েটার (ওটি), এক্স-রে মেশিনসহ প্রায় সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও অ্যানেসথেসিওলজিস্ট বা অচেতনবিদ না থাকায় দীর্ঘ চার বছর এ হাসপাতালে সিজারিয়ান সেবা বন্ধ ছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একজন অচেতনবিদ এনে চার বছর পর প্রথম সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। এরপর তিনি সপ্তাহে একদিন করে আসতেন।

সম্প্রতি এ হাসপাতালে ডা. তাসনুভা তানজিল নামের একজন অচেতনবিদকে জুনিয়র কনসালটেন্টকে পদায়ন করা হয়। এখন নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন করা হবে। তিনি বলেন আরো বলেন, এ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে গরিব অসহায় মা-বোনদের সিজারের ওষুধপত্র বাবদ সব খরচ দেওয়া হয়। একজন প্রসূতি মা’র অস্ত্রোপচারে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকার ওষুধপত্র প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া অন্য গরিব রোগীদের এক স্লিপে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ওষুধের জন্য দেওয়া হয়।