image

সীতাকুণ্ড পাহাড় নিধন: জরিমানা গুনল কেএসআরএম

image

পাহাড় কাটার দায়ে অবশেষে জরিমানা গুনতেই হলো চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমকে। সীতাকু- উপজেলার বাড়বকুণ্ড পাহাড় কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ আইন অমান্য করে পাহাড় কাটার অপরাধে কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়। এর আগে ২০১৯ সালেও একই অপরাধে এ প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে কেএসআরএম।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সীতাকু- উপজেলার জঙ্গল কাঠগড় মৌজার ১২ নম্বর দাগের পাহাড় কাটছিল কেএসআরএম। চলতি বছরের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সরকারি বন্ধের সুযোগে পাহাড়ের বিশাল অংশ কাটা শুরু করে। খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল সেখানে ছুটে গেলেও তাদের ঢুকতে দেয়নি কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ। পরদিন ১৮ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল কেটে ফেলা পাহাড়ের অবস্থা পরিদর্শনে যান।পরিদর্শন শেষে দুই বছর আগে পাহাড় কাটার অপরাধে জরিমানা এবং বর্তমানে পাহাড় কাটার বিষয় পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু ৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর আগ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। লকডাউন চলাকালীন সময়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আমাদের সময়কে বলেন, পাহাড় কাটার অপরাধে কেএসআরএম গ্রুপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরিদর্শনে যাওয়ার আগে বিশাল পাহাড় কাটার খবর থাকলেও সরেজমিন দেখা গেছে পাহাড়ের কিছু অংশ কাটা হয়েছে। তাই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অথচ স্থানীয়দের অভিযোগ, পাহাড় কাটার প্রকৃত অবস্থা দেখে যাওয়ার ভয়ে ১৭ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ঢুকতে দেয়নি কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ। অব্যাহত পাহাড় কাটার ফলে ইতোমধ্যে পাহাড়ের বিশাল অংশ সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যাওয়ার আগেই পাহাড় কাটার সরঞ্জাম সরানো হয়।