image

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট

image

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব এবং স্বদেশে প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘ জোরালো ভুমিকা পালন করে যাবে। এ ব্যপারে মিয়ানমারের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে আলোচনাও অব্যাহত রাখবে।

বুধবার (২৬ মে) সকালে জাতি সংঘের সাধারন পরিষদের ৭৫ম অধিবেশনের সভাপতি ভলকান ভজকি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গাদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব মন্তব্য করেছেন। কক্সবাজার শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ  সামশুদ দৌজা এই তথ্য জানান।    আজ  বুধবার সকাল ৯ টায় তিনি আকাশ পথে কক্সবাজারে আসেন তারপর যান উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প চার এ।, সেখানে তিনি রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন।

এসময় তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নানা সমস্যার কথা শুনেন রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে জাতি সংঘের সহযোগীতা কামনা করেন বলে বৈঠকে উপস্থিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান।

এসময় ভজকির রোহিঙ্গাদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন পরে তিনি বালুখালী ৮ ডব্লিউ ক্যাম্পের ওয়াচ টাউয়ার থেকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করেন এরপর যান বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প নয়ে,তুরস্ক সরকার কতৃক রোহিঙ্গাদের জন্যে পরিচালিত ২২ মার্চের অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তুর্কি হাসপাতাল পরিদর্শনে।সেখানে পুনঃনির্মিত হাসপাতালের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন পরিদর্শনকালে তিনি রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্যে বাংলাদেশের সরকার ও জনগনের ভূয়সী প্রশংসা করেন বলে জানান বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব শাব্বির আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, এসময় উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সালে জাতিসংঘের মহাসচিবের পর সাধারন পরিষদের সভাপতির এ সফর কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বসম্প্রদায়ের মনযোগ আকর্ষনেও এ সফর ভুমিকা রাখবে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।