image

বোয়ালখালী হাজীরহাট বাজারে টয়লেট ও নলকূপের অভাবে বেকায়দায় ব্যবসায়ীরা

image

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী ইকবাল পার্ক হাজীরহাট বাজারে বোয়ালখালীর বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত ক্রেতা-বিক্রেতার মিলনস্থল হওয়ায় প্রতিদিন অনেক লোকের যাতায়াত এই হাজীরহাট বাজারে হয়ে থাকে।

বোয়ালখালী উপজেলার বৃহত্তর ও ব্যস্ততম বাজার হাজীরহাট অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবৎ পাবলিক টয়লেট বা গভীর নলকূপের অভাবে জনদুর্ভোগে বন্দি হয়ে পড়েছে হাজীরহাট দোকান ব্যবসায়ী , বাজারবাসী ও প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জ থেকে ছুটে আসা জনসাধারনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

অন্যদিকে প্রতি সপ্তাহে ২ দিন হাজীরহাটে কাঁচা বাজার বসার কারণে বাজারে সাধারণত ক্রেতা-বিক্রেতার জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। বাজারে সব সময় পুরুষ- মহিলাদের আনা গোনা থাকে। বিশেষ করে বাজারে আগত নারী-পুরুষ ক্রেতাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয় বেশি ভাগই।
এছাড়াও প্রতি বছর কোরবানির পশুরহাটও বসে এই হাজীরহাট বাজারে।তখন ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা আরও বেড়ে যায় ।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায় যে, হাজীরহাট বাজারে রয়েছে প্রায় ১ শত ৫০টি দোকান। আর এই বাজারে প্রতিদিন ভিড় জমায় পূর্বগোমদন্ডী, আকুবদন্ডী, সারোয়াতলী গ্রামের প্রায় এক হাজার  মানুষ। 

বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা, দোকানীদের জন্য কোন পাবলিক টয়লেট না থাকায়  নিরুপায় হয়ে অনেকেই প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিচ্ছে বাজারের খোলা জায়গায় কিংবা আশে পাশে। দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেরে ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বাজার সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

হাজীরহাট বাজারের অনঞ্জু জুয়েলার্সের মালিক সুকুমার দত্ত জানান, পাবলিক টয়লেট ও গভীর  নলকূপ না থাকায় লোকজন আশে পাশে এসে প্রস্রাব করে। বাজারের কয়েকজন দোকানী জানান, বাজারে টয়লেট থাকলে নোংরা পরিবেশ থাকত না। এখন টয়লেট ও গভীর নলকূপের পানির অভাবে বাজারের ব্যবসায়ীদের মহাবিপদে পড়তে হচ্ছে।

হাজীরহাট বাজার কমিটির সহ-সভাপতি আবদুস সোবাহান জানান, সরকারী ভাবে প্রতি বছর এ বাজারটি ইজারা হয়। প্রতি বছর এখানকার দোকানীরা পৌরসভাকে খাজনা দেয়। কিন্তু এখানে কোন স্বাস্থ্যসম্মত পাবলিক টয়লেট ও গভীর নলকূপ না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। তিনি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও  কোরবানির পশুর হাট বসবে তখন বাজারে পাবলিক শৌচাগার না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেক অসুবিধায় পড়তে হবে।

বোয়ালখালীর পৌরসভার মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু এ ব্যাপারে বলেন, হাজীরহাট বাজারে টয়লেটের জন্য নির্ধারিত জায়গা না পাওয়ার ফলে এতদিন পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এখন আমরা হাজীরহাট বাজারে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করার জন্য জায়গা নির্ধারণ করেছি । আশা করি সামনে পৌরসভার বাজেট পাশ হওয়ার সাথে সাথে বাজারে পাবলিক টয়লেট ও গভীর নলকূপ নির্মাণের কাজটি শুরু করব ।